যিনি শৈশবের পাহারাদার, যিনি পাঠ দেন নৈতিকতার, সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল ‘যৌন মিলনে উদ্বুদ্ধ’ (Grooming for Sex) করার মতো মারাত্মক অভিযোগ।
যা শুনে চমকে যাচ্ছে গোটা দুনিয়ার মানুষ। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার (Australia) এক স্কুলের ওই শিক্ষিকাকে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে যাবতীয় অভিযোগ। তাদের বক্তব্য, এমন কিছু ঘটেনি, বিদ্যালয়ে নাবালকদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।
ঘটনাটি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট অগাস্টার (Port Augusta)। জানা গিয়েছে, তরুণী শিক্ষিকার নাম এমি সিঙ্গলটন (Ammy Singleton)। ২৮ বছরের এমি যখন পোর্ট অগাস্টা ওয়েস্ট প্রাইমারি স্কুলে (Port Augusta West Primary School) কর্মরত ছিলেন তখন এই কাণ্ড করেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, তিনি ওই কাজ করেন গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। ওই সময়েই এক নাবালককে এমি যৌন মিলনে উদ্বুদ্ধ করেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শিক্ষিকা এবং স্কুলটির চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে উদ্বেগে ভুগছেন অভিভাবকেরা।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ যাবতীয় ঘটনা অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, কোনও নাবালকের সঙ্গে এমন কিছু ঘটেনি কখনও। এই বিষয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে তারা জানিয়েছে, এমি ছিলেন একজন অস্থায়ী শিক্ষিকা। এমনকী আরও বলা হয়, মাত্র একদিন ওই স্কুলে কাজ করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
প্রিন্সিপাল ডেভিড লটন (David Lawton) বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের স্কুলের কোন ছাত্র জড়িত নয়। আমাদের স্কুলের ভেতরে যে পরিবেশ, তাতে বাচ্চাদের নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ দেখছি না।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ দায় ঝেরে ফেলতে চাইলেও অভিযুক্ত শিক্ষিকা এমিকে গ্রেপ্তার করে পোর্ট অগাস্টার পুলিশ। যদিও আদালতে মামলা উঠলে তিনি জামিন পান। শিশু সংক্রান্ত কোনও কাজে যুক্ত থাকবেন না, এই শর্তে শিক্ষিকাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তথ্য প্রমাণ জোগাড়ে প্রশাসনকে ১২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে অগাস্টা ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।