শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ১১৯টি ভোট পড়ে। তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দেয় প্রধান বিরোধীদল সামাগি জানা বেলাওয়েগায়া। এর বিরোধীতা করে ক্ষমতাসীন দল পদুজানা পেরামুনা ও নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি।

এদিকে দেশটির মন্ত্রী দিনেশ গুনাবর্ধনে বলেছেন, পরবর্তীতে এই প্রস্তাবটি একটি সাধারণ প্রস্তাব হিসেবে সংসদে আলোচনা হতে পারে। অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া অসন্তোষ থেকে বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়া এই দ্বীপ দেশটি ইতিহাসের ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকট পার করছে এখন। জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করার মতো অর্থ না থাকায় দেশটিতে জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

পার্লামেন্টে গোতাবায়ার বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবে অসময়ে কর মওকুফ করে এবং কৃষিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ফসল নষ্টের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংকট তৈরির অভিযোগ তোলা হয়।

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কায় মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ হলেও সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সমর্থকরা কলম্বোর একটি বিক্ষোভকেন্দ্রে হামলা চালালে পরিস্থিতি বদলে যায়।

এরপর সরকার সমর্থক ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ৯ জন নিহত হয়।

মাহিন্দা রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করতে হয়, তবে তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায় রাজাপাকসে এখনও স্বপদে বহাল।

দেশের এই অবস্থার জন্য শ্রীলঙ্কার বেশিরভাগ নাগরিক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজপাকসে এবং তার পরিবারকে দায়ী মনে করছেন। তারা গোটাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।