মোঃ জসিম উদ্দিন, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ও বিভিন্ন ফসল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ১২ টা ১০ মিনিট থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সাথে শুরু হয় কালবৈশাখীর তাণ্ডব। কয়েক মিনিট স্থায়ী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি, উড়ে গেছে ঘরের টিন, ভেঙে গেছে শত শত গাছপালা। কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ভেঙে মাটিতে মিশে গেছে। তাতে ফসলের ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলার ছাতিয়ান গড় গ্রামের জবেদ আলী, আব্দুল মতিন, উম্মে কুলসুম, ফজলে রহমানসহ অনেকে বলেন, জীবনে হয়তো প্রথম এমন কালবৈশাখী ঝড় দেখলো খানসামাবাসি। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি মিটাবে কেমনে? প্রাকৃতিক দুর্যোগের সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া।

অন্যদিকে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সূর্বণখুলীর মহির পাড়ার সেফাউল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ২টি টিনের ঘরসহ আমাদের পাড়ায় ইনসান, মনছুর,ও নজরুলসহ অনেকের বাড়ির টিনের চাল উড়ে ও ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গোয়ালডিহী ইউনিয়নের ওবাইদুর নামে একজন ভ্যানচালক বলেন, আমাদের এইদিকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়াও অনেকের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে গেছে।

এ বিষয়ে খানসামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান,উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় গাছ ভেঙ্গে গেছে সেগুলো আমরা দিবাগত রাত ১টা থেকেই সরিয়ে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতেছি।

প্রায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ঃ৩০ টার দিকে পুরো রাস্তার ভেঙে যাওয়া গাছ সরানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, গোটা উপজেলায় তমুল ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এ ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপজেলার সবজি চাষীরা ও বাগান ব্যবসায়ীরা৷ তবে এছাড়াও কোন ফসলের কি ক্ষতি হয়েছে তা জানতে মাঠে কাজ করছি আমরা। পরবর্তীতে জানাতে পারবো।

এ বিষয়ে খানসামা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার বলেন,গতকালকের ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলা পরিষদের গাছ ভেঙে গেছে।এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেকের টিনের চালা উড়ে গেছে। অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অবগত করেছি যেন তারা তাদের ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি সরকারিভাবে তাদেরকে সহায়তা প্রদান করতে।