যৌনতায় এক্সপেরিমেন্টের ব্যাপারে সব দেশের তুলনায় অনেকাংশেই এগিয়ে রয়েছে জাপান। এক সমীক্ষা বলছে, জাপান জুড়ে প্রায় প্রতিমাসেই প্রকাশ্যে আসছে যৌনতা সম্পর্কীত নতুন স্টাডি। এমনকী, গোটা জাপান জুড়ে যৌন বিষয়ক ম্যাগাজিনের বিক্রিও বাড়ছে রোজ। সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, জাপানের মানুষরা সারাদিন চরম খাটা খাটনির পর সঙ্গমের মধ্যে দিয়েই নাকি সবচেয়ে বেশি আনন্দ লাভ করেন। তবে এই বিষয়ে বিরুদ্ধমতও রয়েছে।
তবে শুধু এই বিষয়ই নয়। এই সমীক্ষা থেকে এসেছে নতুন এক আরেক তথ্যও। সঙ্গমকে দীর্ঘতর ও আরও বেশি উত্তেজক করতে জাপানের মানুষরা অনুসরণ করছেন বিশেষ কৌশলও। কী সেগুলো?
পিলো সেক্স
পিলো সেক্স অর্থাৎ বালিশ যৌনতা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় জাপানের মানুষের কাছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই যৌনতা পুরুষের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন নারীরাই। তবে এ ধরনের যৌনতায় পুরুষরাই মূলত অ্যাক্টিভ থাকেন। বালিশ যৌনতায় বিছানায় একাধিক বালিশ ব্যবহার করা হয়। বালিশের উপরই মূলত শুয়ে থাকেন সঙ্গী। তবে শুরুতে সঙ্গীর শরীর স্পর্শ না করে, বালিশের সঙ্গে প্রাথমিক রতিক্রিয়া শুরু করতে হয়। এতে সঙ্গীর শরীরে উত্তেজনা বাড়ে। ফলে সঙ্গম আরও বেশি গভীর হয়ে ওঠে।
ওয়াটার সেক্স
নাম শুনেই ভাবছেন, স্নানঘরে যৌনতা। কিন্তু ব্যাপারটা একেবারেই তা নয়। এই ধরনের কৌশলে জলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে দুজনের মধ্যে একজনের শরীর থাকবে ভেজা এবং আরেকজনের শরীর থাকবে শুকনো। সঙ্গীর জলে ভেজা শরীর থেকে জলের ছোঁয়া নেওয়ার খেলাই হল ওয়াটার সেক্স।
ফ্লোর ইন্টিমেসি
সমীক্ষা বলছে, জাপানের বেশিরভাগ মানুষই সঙ্গমের ক্ষেত্রে বিছানাকে খুব একটা বেশি পাত্তা দেন না। বরং সোফা, কিচেন টেবিল, বারান্দা বা রুফ টফকেই বেছে নেন সঙ্গমের জায়গা হিসেবে। তবে জাপানে নতুন ট্রেন্ড ফ্লোর ইন্টিমেসি। অর্থাৎ বাড়ির যেকোনও অংশের ফ্লোরকে সঙ্গমের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করেন বেশ কিছু মানুষ। জাপানের যৌন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের কৌশলে সঙ্গম আরও দীর্ঘতর হয়!
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।