দেশের ১২ জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলাকেও ভুমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষনা দেন।
এ উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণাংশু দত্ত টিটোসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে আজ ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলাকে ভুমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হলো। এর আগে বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলাকে মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ ঠাকুরগাঁও জেলাকে ভুমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হলো এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
ঠাকুরগাঁও জেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মোট ৮১৮৭টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে সুষ্ঠ তালিকার মাধ্যমে ভুমি ও গৃহহীনদের ঘর বরাদ্দ চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরো জানান, প্রথম থেকে চতুর্থ দফা পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের কাজ সম্পূর্ন করার মধ্য দিয়ে ভুমি ও গৃহহীনদের মাঝে সুষ্ঠ ভাবে বন্টন করা হচ্ছে। ভুমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণার পরেও যদি কোন ভুমি ও গৃহহীন থাকে তাকেও ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন করে যে ১২টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করেছেন তা হলো- ঠাকুরগাঁও,মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নওগাঁ, পাবনা,দিনাজপুর,নাটোর,কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।