ময়মনসিংহ সদর কোতোয়ালী মডেল থানায় হাজির হয়ে শংকর সাহা নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়েরে পিতার নাম উল্লেখ করেননি।

এ ছাড়াও অভিযোগ দায়েরকারীর পিতার নাম অজ্ঞাত লিখে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ তালুকদার (বার) ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ ফারুক হোসেন সংবাদদাতা এবং অভিযোগকারীর নাম ও বাসস্থান/ঠিকানা কলামে ৯২, আমপট্রী মেছুয়া বাজার উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করেন।

বাদীর আবেদনে উল্লেখ করা ৯২ ডালপট্রী, মেছুয়া বাজার ঠিকানা পুলিশ উল্লেখ করেনি। আবার বাদী তার অভিযোগে একাধিক সংগঠনের নাম ও পদবী উল্লেখ করলেও বাবা’র নাম লিখেননি।

প্রশ্ন দেখাদেয় বাদী কি তার বাবার নাম জানেন না? এতোসব ভুলবাল থাকলেও খুব সহজেই মামলাটি রেকর্ড হওয়ায় জনমনে পুলিশের দক্ষতা ও সাবধানতার প্রতি সাধারন মানুষের মাঝে হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং ৯(৫)২১। মামলার বাদী শংকর সাহা অভিযোগ দায়ের করেন। ২ মে/২০২১ মামলা প্রাথমিক তথ্য বিবরনীতে লিপিবদ্ধ হয়। বাদীর লিখিত/ কম্পিউটার টাইপকৃত এজাহার প্রাপ্ত হইয়া মূল এজাহার হিসাবে গন্য করিয়া অত্র সহিত সংযুক্ত করা হইল মমের্ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ তালুকদার (বার) ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ ফারুক হোসেন স্বাক্ষর করেন। অপরাধের ধারাসহ অপরাধের বিবরনে লিখা হয়েছে ২৮(২)২৯(১)/৩১(২) ডিজিটাল রিাপত্তা আইন ২০১৮; ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করত; মানহানিকর তথ্য প্রচার ও আইনশৃংলার অবনতি ঘটানোর অপরাধ।

এছাড়াও বাদী তার অভিযোগে একমাত্র আসামী দীপক চন্দ্র দে (৩৫ কে একজন অসভ্য ব্যক্তি বলেও উল্লেখ করেছেন।

সুত্র জানিয়েছে, ৯২ নং ডাইল পট্রী মেছুয়া বাজার ময়মনসিংহ সদর, শংকর সাহা পিতা যোগেন পসাদ সাহা, মাতা-সরসতী রানী সাহা ভোটার নং ৬১০০৭৪১৬১৭৭৯ লিপিবদ্ধ রয়েছে।

পসাদ আর সাহা দুটোই সনাতন ধর্মের উপাদী। একটি হচ্ছে নিন্ম বর্ণের অন্যটি উচ্চ বর্ণের। তাহলে মামলার বাদী কি এই শংকর?

আর্যধর্ম জ্ঞান প্রদায়িনী সভা (ধর্মসভা) দূর্গাবাড়ির সাধারন সম্পাদক দাবি করেন এই শংকর। এই প্রতিষ্ঠানের একটি সাংগঠনিক কাঠামো আছে। ১৮৬০ সনে এটি প্রতিষ্ঠিত। গঠনতন্ত্র ইংরেজীতে লেখা। গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিনি সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

এতোসব ভুলবালে মামলাটি রেকর্ড হলেও বাদী কেন তার পিতা নাম উল্লেখ করেননি তা সাধারন মানুষদের প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে। অপর দিকে মামলাটি রেকর্ড হওয়া কালিন কি যাচাই করা হয়নি? না বাদী তার তথ্য গোপন করেছেন ? যা আইনের ভাষায় গুরুতর অপরাধ। ময়মনসিংহবাসী তথ্য গোপনকারীকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে।