মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার মহম্মদপুরে পারিবারিক কলহে মনোরঞ্জন বিশ্বাস ওরফে কানা মন্ডল (৭৩) নামে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিহত হয়েছে।এ ঘটনায় ছেলে ও ছেলের বউকে আটক করেছে মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,আজ (৫ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকাল সড়ে ৯টার দিকে পুতা ছেলে অঙ্কন বিশ্বাস (১০)কে মোবাইল ক্রয় করে দিতে চাইলে ছেলে ও ছেলের বউ আপত্তি জানালে মনোরঞ্জনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে তারা নিহত মনোরঞ্জনকে ধাক্কা দিলে ঘরের সামনে রাখা ইটের শুড়কির উপর পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বাজার প্রথমিক চিকিৎসা শেষে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনোরঞ্জন বিশ্বাসের মাথার বাম পার্শ্বে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনার সাথে সাথে নহাটা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ছেলে অশোক কুমার বিশ্বাস(৩৬) ও ছেলের বউ বিথিকা রানী বিশ্বাস(৩০) কে আটক করে। প্রতিবেশী বাসন্তী রানী বলেন,আমরা সকালে ঝগড়াঝাঁটি শুনে এসে দেখি মনোরঞ্জন বিশ্বাস মাটিতে পড়ে আছে তাকে আমরা নহাটা বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এরপর মাগুরায় নিলে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃনাসির উদ্দিন বলেন, মোবাইল ক্রয়ের জন্য দাদা ৫০০০টাকা অংকনকে দিতে চেয়েছে আর বাকী ২০০০টাকা তার মাকে দিতে বললে তাদের মাঝে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মাঝে ধাক্কা ধাক্কির ফলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রথমিক ভাবে জানাগেছে।
এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মাগুরা সহকারী পুলিশ সুপার (শালিখা সার্কেল) জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বীনা রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে, আমরা দুজন(ছেলে ও তার স্ত্রী) কে আটক করেছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।