বর্তমান পরিস্তৃতিতে গ্রাম-শহর একাকার করা সম্ভবনয় বলে বিবেচনার প্রয়োজন।
২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের উপর আমার প্রথম লেখা এটা, আর এর মাধ্যমে আমি সরকারের নিকট সবিনয় দাবি জানাব যে এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করার জন্য। হাঁ এমন দিন বেশি দূরে নয়, (যদি দুনিয়া এভাবে ঠিকে থাকে) তবে গ্রাম আর শহরের কোন তফাৎ থাকবেনা, তখন করারোপ করাও অযুক্তিক হবেনা।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে শহর আর গ্রামকে কোনতেই একাকার করা সম্ভবনয়। গ্রামে বানিজ্যিক উদ্দেশ্য ভবন তৈয়ার হয়না, ভারার প্রবনতাও নেই।
কদাচিৎ কোন বাড়ি বিল্ডিং হলেও শুধু পারিবারিক প্রয়োজন ছাড়া অন্যকিছু থাকেনা। বাকি সিংহভাগ বাড়ি-ঘর তৈরী হয় কোনমতে জীবন ধারণের জন্য।
এ পরিস্তৃতিতে গ্রামেও যদি শহরেরমত কর দিতে হয় তবে অনেকের বাড়ি-ঘর ছেড়ে গাছতলায় থাকার নামন্তর হবে।
এছাড়া গ্রামের জনগোস্টির আয়-রোজগারের বিষয়টাও বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন নয়কি? এমন অনেক বিষয় অনুধাবন করে নিশ্চিত একটা পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পাড়ে যেখানে গ্রামীন জনগণের উপর কোন রকম অতিরিক্ত চাঁপ সৃষ্টি না হয়।
অন্যদিকে শহরের তুলনায় পল্লিঅঞ্চল থেকে যদি অনুরূপ কর আদায় করতে হয়, তবে সরকার শহরের তুলনায় গ্রামঞ্চলের জীবন-মান একাকার করা সম্ভব হবে? দিতে পারবে সমান নাগরীক সুবিধা?
এমনটা যদি নাই পারা যায়, তবে কোন যুক্তিতে শহরেরমত গ্রামের বাড়ি-ঘর থেকে টেক্স আদায় ন্যয় সঙ্গত হবে?
বাস্তবতা উপলব্দি করতে শহর-বন্দর ও গ্রামঞ্চলে একটা জরিপ চালান।
দেখুন গ্রাম-শহরের মৌলিক ব্যবধান ও আয়-ব্যয়ের খাত পর্যালোচনা করুণ।
হাঁ, যা করা যুক্তিক তা হলো বাড়ি-ঘরের একটা নিবন্ধন ও ফসলি জমিতে বাড়ি নির্মাণ কঠোরতা জাড়ি করা যায়।
এছাড়া বাজেটের আয়-ব্যয়ের সমন্ময় আনতে হলে প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যয় ও রাষ্ট্রের ছোট-বড় সকল প্রকার প্রকল্পের ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা আনুন। দুর্নীতি তথা সরকারী অর্থের চুরি থামান, পাচার ও অপচয় রোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহন করুণ।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস গ্রামের বাড়ি-ঘর থেকে যে পরিমান কর আদায় হবে তারচেয়ে বহুগুণ বেশি পরিমান টাকা এভাবে সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
উদাহরণ হিসাবে আমি চলতি জুন মাসের দুই তারিখের সংবাদে প্রকাশিত একটা প্রতিবেদনেই যতেষ্ট মনেকরি।
যার হেড লাইন ‘লুটের আয়োজন থামিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী’। যেখান থেকে জানতে পারি মন্ত্রীসভায় অনুমোধিত ১৭৫৫ কোটি টাকার মাল প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষনতা ও কর্মদক্ষতা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষনের ফলে মাত্র ৬৩০ কোটি টাকায় কিনা সম্ভব হয়েছে। যেখানে রাষ্ট্রের ১১২৫ কোটি টাকা লুটতরাজ সেন্ডিকেটের কবজা থেকে রক্ষা পাইছে।
এমন লুট-পাটের বহু নজির ও অপচয়ের অনেক নিদর্শন বাংলাদেশে রয়েছে। যেগুলোর প্রতি মনোনিবেশ করলে সহজেই হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
যাদিয়ে যেমন বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে তেমনী জনগণের উপর করের চাপও কমবে।
এমন হলে একদিকে মানুষ খুশিহবে অন্যদিকে দেশের হবে টেকসই উন্নয়ন।
তখন আশাকরি গ্রামীন বাড়ি-ঘরের করের টাকাটা না নিলেও বাজেটে এর বিশেষ কোন প্রভাব পরবেনা।
আশাকরি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়ে যাথাযথ পদক্ষেপ নিবেন বলে।
হাফেজ শাহ্ মুহাঃ মিজান তালুকদার হারুন
জেনারেল সিটিজেন, অনলাইন এ্যাক্টভিষ্ট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।