ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
সম্রাট আজ আদালতে হাজির হন। তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন। একই সঙ্গে সম্রাটের জামিনের মেয়াদ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।
দুদকের করা এ মামলায় গত ২২ আগস্ট একই আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন সম্রাট। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত।
এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে রমনা থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগে ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। গত ১৮ মে দুদক এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২৪ মে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সম্রাট। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।