যশোরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় চার আসামির পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। বুধবার যুগ্ম জেলা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি ভীম সেন। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

আদালতের বেঞ্চসহকারী আব্দুল কাইয়ুম জানান, আসামিদের মধ্যে মণিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের বখতিয়ার মোড়লের ছেলে তরিকুল ইসলামের পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। তরিকুল ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৭৯ বোতল ফেনসিডিলসহ র‌্যাবের হাতে মণিরামপুরের শরণপুর গ্রাম থেকে আটক হয়।

যশোর শহরের নাজির শংকরপুর জিরোপয়েন্ট এলাকার হাজি মকবুল হোসেনের ছেলে আজগর আলীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দু’ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। আজগর আলী ২০১০ সালের ১৩ জুলাই বাহাদুরপুর থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হয়। ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গাধরপুর গ্রামের মৃত লবু মোড়লের ছেলে বিল্লাল হোসেনের দু’ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দু’ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বিল্লাল ২০০৬ সালের ১০ ডিসেম্বর যশোরের ধর্মতলা থেকে ডিবি পুলিশের হাতে আট বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হয়।

এছাড়া, অভয়নগর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের আব্দুল মজিদ খাঁর ছেলে জাকির খাঁকে দু’ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। জাকির ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি নিজ এলাকা থেকে অভয়নগর থানা পুলিশের হাতে ছয় বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হয়।

KKHC 2

পৃথক এ চার মামলায় বুধবার আদালত চার আসামিকে এ সাজা প্রদান করেন। আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় সকলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।


তিনি আরও জানান, একই আদালত বুধবার সর্বমোট ২৭ টি মামলার রায় ঘোষণা করে। তার মধ্যে চারটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের, তিনটি মাদক ও ২০ টি চেক জালিয়াতির মামলা। চেক জালিয়াতি তিনটি মামলায় খালাস প্রদান করা হয়েছে।