রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন তিনি।
জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
জানা যায়, ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আয়োজিত সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচসিআরের ফিলিপো গ্রান্ডি ও স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি নারী নেত্রীদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মেও যোগ দেবেন। দিনের শেষে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনাতেও যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও ইউএন হ্যাবিট্যাটের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিন, তিনি ডব্লিউইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শোয়াব ক্লাউসের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ও গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন। বিকেলে, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন। এর পর তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা ও রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর উপর একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকের মাধ্যমে শুরু করবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।
পরে, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা প্যাদেই তেকো হুন সেন ও আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
এ ছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
কোভিড-১৯ জনিত কারণে এবার কোনো সাইড ইভেন্ট জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হবে না। তবে, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং টেকসই আবাসন বিষয়ে পৃথক দুটি সাইড ইভেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ। ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর। দুটিতেই প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন।
প্রতিবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আয়োজনে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন। এই বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধার বিষয়সমূহ উপস্থাপনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাংলাদেশের নিকট তুলে ধরবেন।
কলমকথা/এমএনহাসান
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।