ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধিতে’ রকেট হামলায় নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের (৩৪) দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে বরগুনার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে দাদা-দাদির কবরের পাশে শায়িত হন তিনি। সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে লাশবাহী ফ্রিজিং একটি গাড়িতে করে তার লাশ নিয়ে আসা হয়।

এর আগে বেলা সোয়া ১২টার দিকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো বিমানে হাদিসুরের লাশ নিয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ২টার দিকে হাদিসুরের লাশ নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্য রওনা হন স্বজনরা।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তার লাশ গোসলের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। এরপর সকাল ১০টায় বাড়িসংলগ্ন মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়।

এসময় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (এমপি), বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র এবিএম গোলাম কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ফোরকান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন, স্থানীয় প্রশাসন কর্মকর্তা, স্থানীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কয়েক হাজার মানুষ ওই জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

জানাজা শেষে শেষবারের মত শ্রদ্ধা জানান তারা। এসময় কান্নায় ভেঙে তার নিকটতম স্বজনসহ সবাই। জানাজা শেষে বাড়ির সামনে মসজিদের দক্ষিণে দাদা-দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলা চালায় রুশ সেনারা। এ হামলায় জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ নিহত হন।

পরদিন ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অক্ষত ২৮ নাবিক এবং হাদিসুরের লাশ ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেওয়া হয়। সেখানে হাদিসুরের লাশ রেখে বাকি নাবিকদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৯ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে তারা দেশে ফিরেছেন।

 

 

কলমকথা/ বিথী