করোনা মহামারির কারণে বিগত দুই বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালনের সুযোগ পায়নি বিশ্ববাসী। তবে চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সৌদি আরব সরকার দেশটিতে বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছেন। ফলে অনেকে হজের ফজিলত পাওয়ার আশায় রমজানে ওমরাহ করতে চান। এদিকে, পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এবছর বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী বেড়েছে তিন গুণ। হিড়িক পড়েছে ওমরাহ’র ভিসা সেন্টারগুলোতে। তবে ভিসা পেলেও ফ্লাইট ও টিকিটের অভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন অনেকে। এদিকে হু হু করে বাড়ছে টিকিটের দামও। আগে যে টিকিট ছিল ৫০ হাজার টাকার মধ্যে, তার মূল্য এখন লাখের ওপরে। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইটের বাইরে থার্ড ক্যারিয়ার না থাকায় টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে।

জানা গেছে, বর্তমানে সৌদি গমনের টিকিটের চাহিদা ৫ হাজারের বেশি। কিন্তু দেড় হাজারের বেশি টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। টিকিটের একটি বড় অংশ উচ্চমূল্যে কিনে নিচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। দ্রুত এই সংকট সমাধানে ফ্লাইটসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে রোববার (২৭ মার্চ) চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘এমনিতেই বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ রোজায় ওমরাহ পালনে যেতে চান। তার ওপর গত দুই বছর তারা যেতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই তারা হজ এজেন্সিগুলোতে ভিড় করছেন। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে এয়ারলাইনস হিসেবে শুধু বিমান এবং সৌদিয়া থাকার কারণে যাত্রীরা অসহায় অবস্থায় পড়েছেন। সরাসরি ফ্লাইটের বাইরে সৌদি আরব ওমরাহ যাত্রীদের দেশটিতে ঢুকতে দেবে না। অথচ বাংলাদেশ বাদে অন্য দেশের সাধারণ যাত্রীরা বিভিন্ন দেশের ট্রানজিট নিয়ে সৌদিতে ঠিকই ঢুকছেন। কঠিন নিয়মের কারণে বাংলাদেশ ভুগছে।

 

 

কলমকথা/ বিথী