তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন ৫৫ জন নারী আইনজীবী। তাদের দাবি, ‘সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার শপথ নেওয়ার পরও নারীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক, অশোভন ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। ’
বৃহস্পতিবার তারা জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠিটি দিয়েছেন।
চিঠিতে গত ১১ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক সভায় বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে সেটিকে ‘ভিত্তিহীন, অনৈতিক, অশোভন, লিঙ্গ সংবেদনশীল এবং দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক’ বলে উল্লেখ করা হয়।
আইনজীবীদের দাবি, হাছান মাহমুদ বিএনপির নারী নেত্রীদের নিয়ে ‘অসম্মানজনক ও মানহানিকর’ বক্তব্য দিয়েছেন।
চিঠিতে তারা বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সংসদের স্পিকার সবাই নারী। যখন সারা বিশ্ব নারীর ক্ষমতায়নের দিকে তাকিয়ে আছে, তখন হাছান মাহমুদের এমন অসভ্য ও নির্মম আচরণ সমাজ উন্নয়নের স্বাভাবিক স্রোতের বিপরীত।’
তারা উল্লেখ করেন, ‘মন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্য সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া সংবিধানের ২৭, ২৮, ২৯ ও ৪০ অনুচ্ছেদ অনুসারে নারীরা পুরুষের সমান অধিকার ভোগ করার অধিকারী। সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার শপথ নেওয়ার পরও নারীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক, অশোভন ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সেজন্য তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল হওয়া প্রয়োজন। ’
বিবৃতিদাতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে আছেন—অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, আরিফা জেসমিন নাহিন, শামীমা সুলতানা দীপ্তি, সরকার তাহমিনা সন্ধ্যা, শামীমা আক্তার বানু, মর্জিনা রায়হান মদিনা, বেগম দেলওয়ারা হাবিব, শাহানারা বেগম, মৌসুমি আক্তার, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।