বীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোহেল রানা রুহিয়া থানায় (ওসি) যোগদানের পরই পাল্টে যায় রুহিয়ার চিত্র। পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়; পুলিশ জনগণের সেবক।

এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো রুহিয়া থানা পুলিশের সকল সদস্য।

তাই হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি। ন্যায় বিচারের মূলে পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং সততা। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশের অন্যতম একটি বাহিনীর ভাবমুর্তি।

 

একমাত্র এ বাহিনীটিকেই জনসাধারণের সংস্পর্শে যেতে হয়, পেশাদারিত্বের স্বার্থে। তাই অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বা অকারণে লোভ ও লালসার বশবর্তী হয়ে পড়েন কিছু সদস্য।

 

এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই সাহসী কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি সোহেল রানা। সকল শক্তি অপশক্তিকে উপেক্ষা করে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবলদের প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রেরণাদীপ্ত পারঙ্গমতা প্রদর্শনে সফল হয়েছেন তিনি।

 

ওসি সোহেল রানা রুহিয়া থানায় যোগদানের পর থেকেই তাঁর কাজের সাফল্য ধারাবাহিকতা-কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে রুহিয়ার ইতিহাসে।

ইতিমধ্যে তিনি সাধারাণ মানুষের পাশাপাশি জয় করে নিয়েছেন অভিভাবক মহলেরও মন। রুহিয়া থানার সকল এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি।

ওসি সোহেল রানার দূর-দর্শিতার ফলে প্রায়ই উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য এবং আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী-পাচারকারী এবং মাদকসেবী।

 

রুহিয়া থানায় গত (২৬ জুন ২০২২) ইং তারিখে ওসি হিসেবে যোগদান করেন সোহেল রানা। রুহিয়া থানায় তার যোগদানের পর ৬ মাস হইতে না হইতেই পাল্টে যেতে শুরু করে পুলিশের বেশ কিছু চিত্র, পরিবর্তন আসে সকল ক্ষেত্রে। তাঁর দক্ষ তদারকিতে পেশাদারিত্ব আসে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মাঝেও।

 

এই অল্প সময়ে মাদক মামলার ২৫ টিতে প্রায় ৭৭ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার, দেশি মদ ২০ লিটার, ৩০০ বোতল ফেনসিডিল, ৫৩০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছেন। যাহার সর্বমোট মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ও অধিক। নিয়মিত মামলার আসামি ৫৫ জন গ্রেফতার সহ রুহিয়া থানাধীনের সকল ওয়ার্ডে গিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মাদক, চুরি সহ অন্যান্য সচেতন মূলক আলোচনা সভা করেন।

 

 

পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ-অপবাদ লাঘবে থানার ওসি সোহেল রানার বিচক্ষণতা অনেকাংশেই প্রসংশার দাবি রাখে। ওসি হিসেবে যোগদানের পর ইতোমধ্যেই সঠিক নিয়মের মধ্য জনগণের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকায় তিনি চেষ্টা সম্পন্ন করেছেন।

 

এছাড়া সাধারণ জনতার মাঝে দীর্ঘ দিনের যে সংশয় ছিল, ‘ভয়, পুলিশ সহযোগীতার কাজে টাকা লাগেথ এ সংশয়ও তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন চিরতরে। ওসি সোহেল রানার যোগদানের পর থানায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের, কমে গেছে অকারণে জিডিথর প্রবণতা।

সাধারণ মানুষের ভয় কেটেছে পুলিশের প্রতি। সেবা প্রাপ্তির লক্ষে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে এখন মানুষ।

 

রুহিয়া থানার কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তদারকিসহ অফিসারদের কাজে দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। এতে পুলিশি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেকটাই মুক্তি মিলেছে।

 

পুলিশের প্রতি নির্ভরশীলতার অভাবে অনেক মানুষেরই ছোটখাটো কোনো বিষয় নিয়ে পুলিশের কাছে যেতে অনিহা ছিল। অনেকে নিরবে-নিবৃত্তে প্রভাবশালীদের ছোটখাটো জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। এতে অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়েছিল।

এসব সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওসি সোহেল রানা তার অফিস কক্ষে নিয়মিত সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে থাকেন।

 

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ায় অপরাধীদের উৎসাহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে এখন। তাঁর এ উদ্যোগ চলৎ থাকলে পুলিশের হারানো ভাবমূর্তি যেমন ফিরে আসবে, তেমনি মানুষের জীবনেও সুখের সুবাতাস বইবে। সবকিছু মিলিয়ে রুহিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে ওসি সোহেল রানা সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ শোষক নয়, জনগণের বন্ধু।

সরেজমিনে দেখা যায়, থানার মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই হরেক রকম ফুলের সমাহার দেখে মন জুড়িয়ে যাবে। একটু ভিতরে যেতেই ঢালাই দেয়া নতুন রাস্তা তার পাশেই পুলিশ সদস্যদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আধুনিক ব্যাডমিন্টন কোর্ট।

অপর দিকে সৎ চিন্তা আর প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা থাকায় ওসি সোহেল রানা এর সৃজনশীলতায় বদলে গেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শান্তিপূর্ণ রুহিয়া থানা’র চিত্র। পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমন থানার চিত্রও বদলেছে। এতে আগের তুলনায় থানায় সেবার মানও বেড়েছে। থানার মূল ভবনে রং তুলির আঁচর আর থানা চত্বরে বাহারি ফুল-ফল গাছ আর পতিত জমিতে সবজি ক্ষেত মিলে তৈরি হয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য।

 

এই স্থাপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন গড়তে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রুহিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা।