ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় কর্তৃক রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ:-

মোঃ আল-আমিন ইসলাম|ঠাকুরের সদর প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে গত ২৭ জানুয়ারি সাকিব নূর মুবিন নামের এক স্কুল শিক্ষক তার বাবাকে অসুস্থতাজনিত কারণে ভর্তি করায়। আজ সকালে সাড়ে দশটার সময় রক্ত পরীক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে ছয় তলায় যেতে চাইলে প্রথমেবলে ঝাড়ুদার রা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে না দিলে লিফট দিয়ে ছয় তলায় উঠতে চেষ্টা করলে লিফটের ভিতরে থাকা পূর্ব গোয়াল পাড়া নিবাসী ওয়ার্ড বয় জিয়া তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।


পরবর্তীতে ওই রোগীর স্বজন পায়ে হেঁটে ছয় তলায় তার বাবার কাছে যাওয়ার পর সেই ওয়ার্ডবয় যখন উক্ত ওয়ার্ডে অবস্থান করছিল তখন তার কাছে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে জিয়া আবারও তাকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে মুবিনের বড় ভাই স্টেশন মাস্টার উইন জিয়ার কাছ থেকে তার ছোট ভাইকে ছাড়িয়ে নেন।যাওয়ার সময় জিয়া হুমকি দেয় যে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় আবারও তাকে হামলা করবে।

পরবর্তীতে ওয়ার্ড বয় মাস্টার সাজু বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সাকিবকে তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিয়াকে সহ উভয়পক্ষের কথা শোনার সময় আবারো জিয়া উত্তেজিত হয়ে সাকিবকে প্রথমে পেটে লাথি দেয় এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও মারধর শুরু করে। রোগীর স্বজন শাকিব মুবিন বলেন যে আমি তাকে কিছুই বলিনি শুধু বলেছিলাম আমাকে লিফট থেকে ধাক্কা দিয়ে না বের করে এমনি বললেইতো আমি বের হয়ে যেতাম।এই কথাটি শুনার পর আবারও উত্তেজিত হয়ে সে আমাকে সকলের সামনে কলার ধরে মারতে আসে।আমাকে বাইরে বের হয়ে আক্রমণের হুমকি দিলে আমি তৎক্ষণাৎ বিষয়টি ওয়ার্ড মাস্টার সাজুকে জানালে সাজুর পরামর্শে সাজুর চেম্বারে গেলে সেখানে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও গলা টিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। তিনি আরো জানান যে এ বিষয়ে তিনি হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নাদিরুল আজিজ ও সিভিল সার্জন কে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। শাকিব বলেন যে জিয়া আমাকে ফোনে বারবার হুমকি দিচ্ছে যে, আমি স্থানীয় ছেলে, এমপি আমার খুব কাছের লোক আমি যেন কোথাও অভিযোগ না করি । অভিযোগ করলে পাল্টা আমার নামে মিথ্যা মামলা করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী মুবিনের পিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে রংপুরে স্থানান্তর করা হয়। ভুক্তভোগির পিতা আব্দুল হামিদ জানান আমি এখানে সেবা নিতে এসেছি কিন্তু এভাবে আমার সামনে আমার সন্তানকে মারধর করায় খুব কষ্ট পেয়েছি। আমার সন্তান অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের তার সাথে এরকম আচরণ করা ঠিক হয়নি আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।