ভারতে গিয়ে অবৈধভাবে শ্রমিকের কাজ করার অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৭ বাংলাদেশি নাগরিক।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসা ব্যক্তিরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার রামপদ বিশ্বাস (৪০), শংকর কুমার (৩৯), রবীন্দ্র লাল (৪৫), চন্দন কুমার (৩৭), ধর্মদাস (৪৮), দেবাশিষ (৪৩), বাবু (৪৫), দেবপ্রদীপ (৪২), গোবিন্দ (২৯), তপন কুমার বিশ্বাস (৩২), মিলন মাঝি (৩৪), হরিদাস কুমার মঝি (৫৪), দীপংকর (৩৪), সুমেশ কুমার (৪৩), গৌরপদ মাঝি (৩৮), অমৃত মাঝি (৩৯) ও চট্রগ্রামের রাউজান থানার আদেশ কুমার বড়ুয়া (৪৫)।
ফেরত আসা রবীন্দ্র লাল সরকার জানান, অভাব-অনটনের কারণে আয়-রোজগারের আশায় এক বছরের ট্যুরিস্ট মাল্টিপল ভিসা নিয়ে ভারতের ব্যাংগালুর শহরে যাই।
সেখানে অবৈধভাবে বিভিন্ন পেশায় শ্রমিকের কাজ করি। একপর্যায়ে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। সেখান থেকে একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে এনে সংস্থার নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলাম।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ফেরত আসা বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা রাইটস যশোর, তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।