ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় পশ্চিম পাটিখালঘাটা সিনিয়র মহিলা মাদ্রাসায় ২৪ জন পরীক্ষার্থীর ভিতরে ২০ জনের উপরে অবৈধভাবে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোঃ মিলন, মোঃ মোশারেফ হোসেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাকির হোসেন।

অনুসন্ধানে পাওয়া যায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২০ সালে আলিম পরিক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২১ জন উপস্থিতি এবং উত্তীর্ণ শতভাগ। ২০২১ সালের আলিম পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২৮ জন থেকে তার পরিক্ষায় অশংগ্রহন করেছেন ১৭ জন উত্তীর্ণ শতভাগ।
২০২১ সালের দাখিল পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৭ উপস্তিতি এবং উত্তীর্ণ হার শতভাগ। ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২০ জন পরিক্ষা অশংগ্রহন করেছেন ১৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৬ জন। জনসাধারণের প্রশ্ন প্রতিষ্ঠানে উপস্তিত ছাত্রী থাকেনা কিন্তু পরিক্ষার সময় কোথা থেকে আসে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ইবতেদায়ী, দাখিল এবং আলিম মিলিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে তিনজন ছাত্রী পাওয়া গেলেও বাকি শ্রেণিকক্ষ গুলো ছিল ছাত্রী শূন্য। এবং শিক্ষক উপস্থিত ছিল দুইজন এবং প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো সাইনবোর্ড। স্থানীয় টিপু বলেন মাদ্রাসায় কোনো ছাত্রী নাই কিন্তু কাগজে কলমে ছাত্রীর শংখ্যা ২৭০।

প্রতিষ্ঠান প্রধান আতাউর রহমানের কাছে তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তথ্য চাওয়ার অধিকার রাখে না। এবিষয়ে কাঠালিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার আজীম বলেন, আমি সরেজমিনে তদন্তকরে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেবো।

এবিষয়ে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অবৈধ পরীক্ষার বিষয়টির অভিযোগ পেয়ে আমি সরজমিন তদন্ত করেছি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।