বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামে গৃহবধূ শাকিলা আক্তার মনির মৃ্ত্যুতে তার স্বামী হুমায়ন কাজীকে (৩৮) প্রধান আসামি করে চারজনের নামে নারী শিশু দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ১১ ক/ ৩০ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধূর ভাই জাকারিয়া নাজিম অলিপ বাদি হয়ে শনিবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ১৭।

জানা যায়, কমলেশ্বরদী গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে শাকিলা আক্তার মনির (২৮) দুই বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের মো. হুমায়ন কাজীর (৩৮) সাথে। বিয়ের পর থেকে ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে থাকতো। গত ১৫ দিন আগে হুমায়ন কাজী বাসা ভাড়া করে ওই গ্রামেই তার স্ত্রী মনিকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে ওই গৃহবধূর মৃত দেহ ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
শাকিলা আক্তার মনির আপন চাচাতো ভাই হাসিবুল হাসান মিথুন জানান, মনির আগে এক জায়গায় বিয়ে হয়। সে পক্ষের ১২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ওই ছেলে হুমায়ন কাজীরও আগের পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। তারও একটি মেয়ে রয়েছে। গত দুই বছর আগে ওরা দুইজন গোপনে আদালতে গিয়ে বিয়ে করে।

পরে বিয়ের পর থেকে মেয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। গত ১৫ দিন আগে হুমায়ন তার স্ত্রী মনিকে নিয়ে গ্রামেই ভাড়া বাসায় থাকেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে হুমায়ন বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর গৃহবধূর আগের পক্ষের ছেলে বাসায় গিয়ে দেখে তার মা খাটের উপর ওপুর হয়ে শুয়ে আছে।

ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে তার মাকে ঘুরিয়ে দেখে গলায় দাগ দেখা যাচ্ছে এবং কোন সাড়া শব্দ নেই। এ সময় ওই শিশুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তবরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রবিবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল হোসেন বলেন, গৃহবধূকে যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সহ চারজনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।