অলৌকিকভাবে শতশত সাপের দেখা মিলছে একটি গাছে। এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এ গুজব ছড়ানোর পর বিষয়টি দেখতে আসছে অসংখ্য মানুষ। সন্ধ্যার পরে ওই এলাকায় মানুষের ভিড় জমে যায়। বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে রীতিমতো কৌতূহলের সৃষ্টি করছে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় পারুলিয়া ইউনিয়নের একটি খই গাছে অলৌকিকভাবে শতশত সাপের দেখা মিলছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ভুল তথ্যের মাধ্যমে অলৌকিক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। যা দেখতে আসছে অসংখ্য মানুষ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গাছের ওপর ডালে ২টি চিকন সাপ পেঁচিয়ে রয়েছে। তবে বাড়ির লোক বলছে সাপ রাতে আসে দিনে চলে যায়।
পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, পারুলিয়া ইউনিয়নের গড়িয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে একটি খই গাছে রাতে অসংখ্য সাপের দেখা মিলছে। বিষয়টি শুনে তিনি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তবে শতশত সাপের দেখা না পেলেও দিনের আলোতে ২/৩টি সাপ দেখেছেন তিনি।
এলাকাবাসী দাবি করে, গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন আলীর পিতা নুর ইসলামের বাড়ির খই গাছে গত ২/৩দিন ধরে সাপের দেখা মিলছে। তবে কী সাপ সেটা কেউ বলতে পারছেন না।
গাছের মালিক নুর ইসলামের ছেলে যমুনা টিভি অনলাইনকে জানান, তিনি গত ৪/৫ দিন আগে থেকে ওই খই গাছটিতে সাপ দেখতে পান। তিনি ওই সাপগুলোকে আঘাত করেন। এতে তার একটি ৮০ হাজার টাকা দামের গরু ও মুরগি মারা গেছে বলেও দাবি করেছেন।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী একটি ছেলে সাপগুলোকে ঢিল ছুড়ে মারে। ওইদিন সে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এরপর থেকে ওই সাপগুলোকে আর কেউ আঘাত করছেন না।
এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি দেখতে ঘটনাস্থলে যান পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। তিনি সাপগুলোকে আঘাত করতে নিষেধ করেছেন এবং দুধ কিনে খাওয়ানোর জন্য স্থানীয়দের নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, তার কাছ থেকে বিষয়টি খোঁজ নেব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।