রোনাকে কেউ করছে না ভয়,মাস্ক ছাড়া বের হচ্ছে সকলে পথে।এমন বিশৃঙ্খলা পরিবেশ বাগেরহাট জেলার প্রতিটা উপজেলার প্রতিদিনের চিত্র।হাটবাজার থেকে শুরু করে নির্বাচনের আড্ডায় ও এদৃশ্য ছিলো এবং আছে।


     ২য় পর্যায়ে করনার ঢেউ লেগেছে দেশের সর্বত্র।বাদ পড়ছে না কোন জেলা।দেখা যাচ্ছে না মানুষের মধ্যে কোন সচেতনাতা।বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষজন মাস্ক পড়তে অনিহা করছে বেশী। তাদের কথা আমাদের কিছু হবে না।আমরা প্রতি নিয়ত রৌদ্রে কাজ করি।

হঠাৎ কয়েক দিনে বেড়ে গেছে করনা সংক্রমণ। প্রতিদিন সংক্রমনের হার বাড়ছে  লাফিয়ে লাফিয়ে। মৃত্যুহার দিনকে দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে পূর্বের রেকর্ড।দুশ্চিন্তার ভাজ পড়ছে প্রশাসনের কপালে।

অফিস আদালতের অনেকে মানছে না সামাজিক দূরত্ব সহ মাস্কের ব্যবহার। এচিত্র দেখা যায় সংবাদ সংগ্রহের সময়।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসনোর পক্ষথেকে প্রতিদিন মাস্ক পরিধানোর জন্য জনগনকে উৎসাহিত করছে।বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোঃরিজাউল করিম বলেন আমরা জনগনকে করনার ভয়াবহতার কথা বলছি এবং সচেতন করছি।প্রত্যেকদিন চারটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালতপরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে ।তবুও জনগন সচেতন হচ্ছেনা।তবে এ প্রকৃয়া অব্যাহত থাকবে। 

কচুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাস্ক বিতরণ করে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছে।এছাড়া জেলার প্রত্যেক উপজেলার থানা পুলিশ প্রশাসন অনুরুপ কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য মাত্রকিছু দিন আগেও করনা প্রকোপ অনেকাংশে কমে যায় শুধু মাত্র সকলের সচেতনতার জন্য।আমরা কথা বলেছি সাধারণ মানুষের সাথে। তাদের মতামত ছিলো বিস্ফোরক। যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, মিছিল মিটিংয়ে যাচ্ছে তারা মানছে না কোন নিয়ম।যার ফলাফল করণা সংক্রমণের কারনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনিদৃষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

বাগেরহাটে সপ্তাহের ব্যবধানে করোণায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০জন ছাড়িয়েছে। উপসর্গ নিয়ে আনেকেই পরীক্ষাকরতে আসেনা স্বাস্থকেন্দ্রে বা হাসপাতালে।আসলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশী হতো।হাটবাজারে গেলে দেখাযায় চরম উদাসীনতা।যেখানে নেই কোন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন।আইনশৃঙ্খলা  বা প্রশাসনের অনেকেই মানেনা নিয়ম।যে যার মতো করে নিয়ম ভাঙছে।এনটিভি সূত্রে জানা যাচ্ছে সরকার পুনরায় দেশে এক সপ্তাহের লকডাউনে যেতে পারে সোমবার থেকে। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আরো বড় সিদ্ধান্তে যাবে সরকার।যার প্রভাব পড়বে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের উপর।