মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার লোহাগড়া নড়াইলঃ

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার রামপুর গ্রামের গোপাল পরামানিকের ছেলে মিঠুন প্রমাণিকের স্ত্রী নন্দিতা(১৮) স্বামীর সাথে রাগারাগি করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়।

অভিযোগে, মেয়ের বড় ভাই বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে
এই মামলার ১ নাম্বার আসামি মিঠুন প্রমাণিক মৃত নন্দিতার স্বামী কে সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর আটক করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ০১-০২-২০২১ তারিখে রাত ১১টা৩০ মিনিটের সময় নন্দিতা ও তার স্বামীর মিঠুন এর সাথে কথা কাটাকাটির মধ্যে এক পর্যায়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়, এবং কিছুক্ষণ পর নন্দিতার ভাসুরের স্ত্রী রত্না, ও পাশের বাড়ির এক মুসলিম নারী মর্জিনা বেগম নন্দিতার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দিকে যায়।

এসময় ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তারা দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে দেখে নন্দিতা ঘরের আড়ার সাথে শাড়ি পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।
এ সময় ওই দুই মহিলা নন্দিতার গলার শাড়ির প্যাচ খুলিয়া লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নন্দিতা কে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহত নন্দিতার বড় বোন রুপালী সরকার, মাতা,কবিতা সরকার, ও বাবা নিতাই সরকার সাংবাদিকদের জানায়, নন্দিতা স্বামী মিঠুন পরামানিক এর সাথে ৮ মাস আগে বিবাহ হয়। বিবাহর পর থেকে মিঠুন ও নন্দিতার মধ্যে আগেও কয়েকবার ঝামেলা হয়েছে।

সেটা স্থানীয় কায়দায় পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়েছে। কিন্তু যে ঘটনা সেটা মিঠুন তার নিজের মধ্যে রেখে আমাদের মেয়ে নন্দিতা কে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে,এমনকি আমাদের কোনো খবরও দেয় নাই, নন্দিতার মৃত্যুর অনেক পরে আমরা তার মরা খবর পেয়েছি। নন্দিতার মরা দেহ ময়নাতদন্তে দেখা যায় সে আত্মহত্যা করেছে।

এ বিষয় এই মামলার তদন্তকারী অফিসার লোহাগড়া থানার তদন্ত( ওসি) হরিদাস রায় বলেন, এই মামলার ১ নাম্বার আসামি মিঠুন প্রমাণিক, মৃত নন্দিতার স্বামী প্রায় এক মাস ধরে ঢাকায় পলাতক ছিল । সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করে থানায় নিয়ে আসি এবং আজ ২০/০৯/২০২১ তার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।