নগরীতে ভাড়া বৃদ্ধিসহ কয়েকদফা দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছে অটোরিকশা চালকরা। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নগর ভবনের সমানে থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
.
এ সময় গোটা নগরীর অটোরিকশা চালানো বন্ধ রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা। বিক্ষোভে বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়। সকাল থেকে সারাদিন এই অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। সবাই বাধ্য হয়ে রিকশায় চলাচল করতে হচ্ছে। সেই সুযোগে নগরীর রিকশাচালকরা যাত্রীদের নিকট থেকে দুই তিনগুন বেশি ভাড়া আদায় করছে।
.
বেলা ১১ টায় নগরীর রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে সাহেব বাজার যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় জন্য অপেক্ষা শামসুজ্জোহা ভাড়া জানতে চাইলে রিকশা চালক তাকে ৫০ টাকা ভাড়া দিতে হবে বলে জানান, পরে ৪০ টাকায় তিনি ঐ রিকশায় সাহেব বাজারে আসেন।
.
তিনি জানান, এমনিতেই অনেক দূর থেকে শহরে এসেছি আবার শহরে এসে আজ ডবল ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটেছে নগরীর সকল পয়েন্টে! নগরীর কয়েকটি পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে এমনি চিত্র। সকল যাত্রীদের কাছে রিকশা চালকরা অতিরিক্ত বাড়া আদায় করেছে।
.
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কথা হয় অটোচালকদের সাথে তারা জানান, আমাদের সবসময় অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দিতে হবে। বর্তমানে সকল পণ্যের দাম বেড়েছে তাই অটোরিকশার ভাড়া কিছুটা বাড়ানো দরকার। আমাদের দাবি মানা না হলে আমাদের আরো কর্মসূচি চলবে। পরে রাজশাহী সিটি মেয়র ঘটনাস্থালে আসেন।
.
পরিস্থিতি শান্ত করেন। অটোচালকদের উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার সিটি কর্পোরেশন অতীতে তাই করেছে। ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
.
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, অটোচালকদের বিক্ষোভের পরে থেকেই ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ জনগণের নিরাপত্তায় সেখানে রয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।