নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজার এলাকার বুগাই শাখা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
সেতুটির পূর্বদিকের শেষপ্রান্তে বালু সরে গিয়ে বিশাল এক গর্তের সৃষ্টি হয়। পশ্চিম দিকের গার্ডার ও সেতুরক্ষা বাঁধও ভেঙে গেছে। ফলে প্রায় ১৫ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুগাই শাখা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির পশ্চিম পাশের গার্ডার ভেঙে পড়ে আছে। পূর্বপাশে বালু সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর রাতে সেতুটির গর্তে পড়ে তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর এ দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ওই স্থানে একটি লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করার কারণেই দেড় বছরের মধ্যেই সেতুটির এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটির পাশে রয়েছে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পেরিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
অটোরিকশাচালক মামুনুর রহমান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে অটো চালাতে হচ্ছে। এতদিন ধরে সেতুটির পাশে এতবড় গর্তের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের মেরামতের কোনো খবর নেই।
এ বিষয়ে কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রায় ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি এই কয়দিনের মধ্যেই বেহাল হয়ে পড়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিআকর্ষণ করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি যেন মেরামত করা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কলমাকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, সেতু ও সেতুসংলগ্ন রাস্তাটি মেরামতের টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।