মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মেলান্দহে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় বিষ প্রাণে প্রেমিক যুগলের আত্নহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। গত (শনিবার) বিকেল উপজেলার জালালপুর রেললাইনে বসে প্রেমিক জাহিদুল ( ২২) প্রেমিকা (১৪) দুই জনে বিষ পান করার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লক্সে ভর্তি করেন।

প্রেমিক জাহিদুল উপজেলার সাধুপুর এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে। জানা যায়, দীর্ঘ ২ বছর ধরে মেয়েটির জাহিদুলের প্রেমের সম্পর্ক। তাদের প্রেমের বিষয়টি দুই পরিবারের লোকজন জানতো, ছেলেটি প্রায় সময়ই মেয়ের বাড়িতে এসে সময় কাটাতো।

মেয়ের পরিবারের লোকজন ছেলেকে বিয়ে করতে বললে ছেলের পরিবার এতে অসম্মতি জানায় পরবর্তীতে ছেলে জাহিদুল কে নিয়ে ছেলের পরিবার একটি পারিবারিক বৈঠক করেন এতে ছেলেকে কান ধরে উঠবাস করিয়ে শাসন করেন। এতে পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদুল তাঁর প্রেমিকা-কে ডেকে নিয়ে রেললাইনে বসে দুইজনে বিষ পান করেন।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুই জনকে চিকিৎসার জন্য মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করেন। মেয়ের মা বলেন, ” আমি বাড়িতে ছিলাম না এই সুযোগে জাহিদুল আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। আমার মেয়ে সেদিন রোজা ছিলো তাকে জোর করে আগে বিষ খাইয়ে পরে জাহিদুল ও বিষ খায়। পরে লোকজন হাসাপাতালে ভর্তি করলে জানতে আমারা। পরে হাসাপাতালে যায়‌ সেই হাসাপাতাল থেকে জামালপুর হাসপাতালে পাঠায়।

আমার মেয়ের সাথে অনেক দিন ধরে জাহিদুলের সম্পর্ক ছিলো মাঝেমধ্যেই জাহিদুল আমার মেয়ের সাথে দেখা করতে আমাদের বাড়িতে আসতো। আমার দাবী ছেলেটি যেন মেয়েটিকে বিয়ে করে। বিয়ে যদি না করে, পরবর্তীতে আবার যদি কোন ঘটনা ঘটায়। তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। এ বিষয়ে সাধুপুর এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে,জাহিদুলের পরিবারের সাথে কথা বলার জন্য উপস্তিত হলে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, তাদের অনেক আগে থেকেই প্রেম, ভালোবাসা ছিল, মেয়েটির সঙ্গে প্রায় সময়ই দেখা করতো জাহিদুল। মেয়েটির সঙ্গে জাহিদুল দেখা-সাক্ষাৎ না করে তাঁর জন্য শহিদুলকে পারিবারিক শাসন করা হয়। তাঁর পরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে মনে হয়।’

ওই এলাকার সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম বলেন, দুই জনে জালালপুর এলাকায় রেললাইনে বসে বিষ খায়, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আগে শুনেছিলাম ছেলেটার বাড়ির পাশে বিয়ের কথা চলছিল।‌ মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, এঘটনা আমার জানা নেই, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

কলমকথা/ বিথী