রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রীমা থানা এলাকায় মানবিক দিক বিবেচনায় সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিলো রাজশাহী সিটি করপোরেশন। মানবিক দিক থেকে কাজটি সঠিক, তবে আইনি জটিলতা থেকেই যায়।

গতকাল ৮ এপ্রিল চন্দ্রীমা থানার নিউ কলোনি হাজরাপুকুর এলাকার ছোট বনগ্রাম মৌজার আরএস ১০৮৮ দাগের উপর সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ঐ সীমানা প্রাচীর ছিলো হাসিনা আক্তার বেগমের সীমানা প্রাচীর। তার ঐ সীমানা প্রাচীর নিজস্ব জমির উপর থাকলেও প্রতিবেশি শিল্পি খাতুনের গেট বরাবর ছিলো৷ এতে শিল্পি খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের চলাচলে অসুবিধা হতো। এ কারণেই মুলত বাড়ির গেট বরাবর সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ সময় রাসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শিল্পি খাতুনের অভিযোগে আমরা এখানে আসি। এসে দেখি তার বাসার গেট বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর দিয়েছেন প্রতিবেশি হাসিনা আক্তার বেগমের ছেলে মেয়ে। এতে করে শিল্পির পরিবারের লোকজন বাসা থেকে বের হতে পারছিলো না। সে কারণেই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপর উভয় পক্ষকে নিয়ে জমির মাপ যোগ শেষে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। উভয় পক্ষকেই তিনি স্থানীভাবে সমাধান করার কথাও বলেন। তিনি আরো বলেন মাটি মাপের জন্য সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার থাকবে সঙ্গে আপনারা চাইলে উভয় পক্ষ সার্ভেয়ার রাখতে পারেন।

এদিকে সীমানা প্রাচীর নিয়ে শিল্পি খাতুনের পক্ষে গতকাল ৭ এপ্রিল জামার আলী মীর (১৪৪/১৪৫ ফৌঃ কাঃবি) ধারায় আদালতে আবেদন করেন। আদালত শান্তি ভঙের নিমিত্তে আগামী ১ জুন উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, উক্ত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়ে আসছিলো। উভয় পক্ষ বিষয়টি নিয়ে থানায় বসেছিলেন। কোন সুরাহ না হওয়া তা মামলা পযন্ত গড়িয়েছে।

জানা যায়, হাসিনা আক্তার বেগমের ১০৮৮ দাগের ৭ ফিট রাস্তা ও জামান আলী মীরের ১০৮৯ দাগের ৪ ফিট রাস্তা ছাড়ার কথা ছিলো। এই ১১ ফিট জায়গায় রাস্তা হওয়ার কথা থাকলেও ১০৮৯ দাগের ৪ ফিট রাস্তা না ছেড়ে বাড়ি করেন। এতে প্রতিপক্ষ ১০৮৮ দাগের ৭ ফিট রাস্তা তারা ব্যবহার করছিলো। পরে সেই ৭ ফিট রাস্তা ঘীরে নেয় হাসিনা আক্তার বেগমের পরিবার। অপরদিকে রাস্তা না ছেড়ে বাড়ি করেন জামান আলী মীর। এখন হাসিনা আক্তার বেগমের ৭ ফিট জায়গার উপর রাস্তা ব্যবহার করতেই নানা কূটকৌশল ও হয়রানি করছেন জামান আলী মীরের পরিবার।

এ বিষয়ে হাসিনা আক্তার বেগমের ওয়ারেশ এড. সোমা বলেন, আমাদের ১০৮৮ দাগের উপর সীমানা প্রাচীর দেওয়া ছিলো। সেটা রাজশাহী সিটি করপোরেশন মানবিক কারণে ভেঙ্গে দেয়। তিনি আরও বলেন, রাসিকের পক্ষে আমাদের বলা হয়েছে অভিযোগ দিলে রাসিক তাদের ৪ ফিট রাস্তাও বের করে দিবেন। কারণ প্রতিপক্ষের ১০৮৯ দাগে ৪ ফিট রাস্তা আছে। যা তারা দখন করে বাড়ি করেছেন। রাস্তা ছাড়লে দুই পক্ষকেই ছাড়তে হবে কেন শুধুমাত্র আমরা রাস্তা দিবো? প্রশ্ন রাখেন তিনি।