তাপপ্রবাহের তীব্র গরমে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ তাপমাত্রা বাড়ায় জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যথা ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে খানসামা উপজেলায়।
দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কারনে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। অন্যদিকে স্থানীয় ওষুধের দোকানগুলোতে প্যারাসিটামল গ্রুপের ট্যাবলেট কেনার হিড়িক পড়েছে।
সরেজমিনে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৫০ ভাগেরও বেশি রোগীই জ্বর, সর্দি, কাশি ও দুর্বলতা নিয়ে আসছে। এর মধ্যে অনেকেই চিকিৎসকের দেখানোর পর বাসায় ফিরছে, আর যাদের সমস্যা গুরুতর তারা ভর্তি হয়ে সেবা নিচ্ছে।
এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে জ্বরের রোগী সেবা নিয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্তঃবিভাগে সেবা নিয়েছেন প্রায় ২৩০ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে এবং সাধারণ ভাইরাসে আক্রান্তের হার বাড়ায় সবখানেই এখন জ্বর, সর্দি ও জ্বর-পরবর্তী সময়ে শরীর দুর্বলতার রোগী বাড়ছে। এটি মৌসুমী জ্বরের প্রকোপ, তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আর বাজারে কয়েকটি কোম্পানির প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের সংকটের কথা শুনেছি। তবে সাধারণ জ্বর, মাথাব্যথার ক্ষেত্রে হাসপাতালে প্যারাসিটামল গ্রুপের পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। গরমে সুস্থ থাকতে বেশি পরিমাণে পানি পান করা এবং সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।