খানাখন্দে ভরে গেছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের সড়ক। সংস্কার নেই। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
হিলি বন্দরের সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চেকপোস্ট থেকে বন্দর গেট, চারমাথা মোড় থেকে দক্ষিণে মহিলা কলেজ এবং সিপি থেকে ধরন্দা ফকিরপাড়ার ইট দিয়ে হেয়ারিং করা সড়কগুলোর বেহাল দশা। সড়কগুলো ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা।
হিলি চারমাথা থেকে দক্ষিণে মহিলা কলেজের সড়কটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে সড়কটি ভেঙে গেছে। জমে আছে পানি। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন।
পাথর বোঝাই ট্রাকচালক ইয়াকুব আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, হিলি বন্দরের সড়ক এখার অবস্থায় আছে। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘোড়াঘাট সড়কের বাসচালক আতাউর রহমান বলেন, দিনে দুই বার আসা-যাওয়া করতে হয় হিলিতে। খানাখন্দে ভরা স্থানগুলো পার হতে ভয় লাগে।
অটোরিকশাচালক মজিবর রহমান বলেন, যাত্রীদের নিয়ে অনেক আতঙ্কে চলাচল করতে হয়। ভ্যানচালক মাহাবুব রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আস্তার যে অবস্থা হচে, কখন যে কি হয়? সেদিন চার জন মেয়ে মানুষ নিয়ে যাবার সময় ভ্যান মোর উল্টে গেলি। মিচ্চেনার (অল্পের) জন্য কেউ মরেনি।
হিলি পৌর মেয়র বলেন, হিলি শহরের রাস্তাগুলোর অবস্থা যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আগামী রোববার দিনাজপুর সড়ক ও জনপদের অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে সড়কগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের এসডিই কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, হিলিতে উন্নতমানের সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে সড়ক নির্মাণে একটু দেরি হচ্ছে। তবে আপাতত সড়কগুলোর খানাখন্দ ভরাটের কাজ দুই একদিনের মধ্যে শুরু হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।