চট্টগ্রাম বন্দরে দেশের ৭টি বেসরকারি শিল্পগ্রুপের আমাদানিকৃত প্রায় ৪৭ হাজার মেট্রিকটন ভোজ্য তেল খালাসের কাজ চলছে। শনিবার (৭ মে) তেল খালাসের কাজ শুরু হয়। গত ২৯ এপ্রিল থেকে সর্বশেষ ৪ মে পর্যন্ত আর্জেন্টিনা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ভোজ্য তেল নিয়ে জাহাজগুলেরা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। জাহাজগুলোতে সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ সংস্থা, আলম গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, সুপার অয়েল ও মেঘনা গ্রুপের আমদানিকৃত ভোজ্য তেল রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, গত এক সপ্তাহে ভোজ্য তেল নিয়ে চারটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।
এসব জাহাজে ৪৭ হাজার ৪৪ টন ভোজ্য তেল রয়েছে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এসব তেল খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এখন জাহাজগুলো থেকে তেল খালাস চলছে। বন্দর সূত্র জানায়, এন এস স্টেলা ও ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ নামের দুটি জাহাজে আর্জেন্টিনা থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। এমটি প্রাইড ও এমটি সানজিন নামক অপর দুটি জাহাজে আমদানি হয়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকে অপরিশোধিত পাম অয়েল। গত ২৯ এপ্রিল থেকে এসব জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছায়।
বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আর্জেন্টিনা থেকে আসা ‘ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ জাহাজে ২১ হাজার টন, ও ‘এন এস স্টেলা’ জাহাজে ৭ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ‘এমটি প্রাইড’ নামক জাহাজে ৭ হাজার ৭৯৯ টন ও ‘সানজিন’ নামক জাহাজে ১১ হাজার ২৪৫ টন পাম অয়েল আমদানি হয়েছে। এসব তেল অগ্রাধিকার দিয়ে খালাসের ব্যবস্থা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। খালাসের পর এসব তেল সরাসরি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের রিফাইনারিতে চলে যাবে। সেখান থেকে পরিশোধন ও বোতলজাত করে বাজারজাত করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।