বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি- করোনা মহামারি বিস্তার রোধে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় প্রথম ধাপে ৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যায়নরত ১২ থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী ২০ হাজার ১শ ১৬ জন শিক্ষার্থীদের ফাইজারের এই টিকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করে টিকা গ্রহণ করেন।
উপজেলার ৫টি টিকাদান কেন্দ্রে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যায়নরত ১২ থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেওয়ে হয়।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনা বিস্তার রোধে সরকার সকলকে টিকার আওতায় নিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে এই টিকা নিয়েছেন।
অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী উম্মে হানি ইভা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছেন এজন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। টিকা পেয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম বলেন, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সময়সূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যায়নরত ১২ থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ফাইজারের এই টিকা পাচ্ছে। জন্ম-নিবন্ধনের সনদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করে টিকা গ্রহণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার রায় মুঠোফোনে বলেন, উপজেলার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রসার ১২ থেকে ১৭ বছরের সব শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকা দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। আমরা শুধু টিকা সংরক্ষণ ও প্রয়োগের কাজটি করছি। তিনি আরো বলেন, উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ এবং টিকা সংরক্ষণের মতো কোনো ফ্রিজ না থাকায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে টিকা নিতে হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।