মহামারির করোনাভাইরাস অভিঘাত ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে একসাথে বসে করণীয় ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

একজন বিজ্ঞ ও পুরোধা ব্যক্তিত্বকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে ডিটেইল আলোচনা হয়েছে। কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স মিনিস্ট্রিকে কতগুলো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত এবং কম্প্রিহেনসিভ ব্যবস্থা নিয়ে সবার কাছে তুলে ধরার জন্য। বিশেষ করে এই যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে বা সাপ্লাই কমে যাচ্ছে, এই জিনিসগুলো কীভাবে হ্যান্ডেল করতে পারব; কোন জায়গায় রেস্ট্রিকশন দিলে ভালো হবে বা ওপেন করলে ভালো হবে। এগুলো দু-তিন দিনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে জানাতে হবে।’

‘ডলারের যে সংকট হচ্ছে, এটা কীভাবে সমাধান করা যায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বসে দু-তিনদিনের মধ্যে ঠিক করে প্রেসের সামনে বসার জন্য বলেছেন।’ আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে হবে।

পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদাকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বলা হয়েছে, এই সিনারিওতে আমাদের কী করণীয়, যেমন মনে করেন আপনি একটি সাজেশন দিলেন- ফল আনার ক্ষেত্রে ট্যাক্স বাড়িয়ে দেন, যাতে ফল বেশি না আসে। এখন বৈশাখ মাস। এখন তো আমাদের আম, জাম কাঁঠাল পর্যাপ্ত থাকবে। এরকম একটি সাজেশন আপনি দিলেন। এটা বিবেচনা করে লজিক্যাল কি না, সেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘৮ বা ৯ হাজার কোটি টাকার ফল আসে বছরে। ৯ হাজার কোটি টাকা ইজ মোর দেন ওয়ান বিলিয়ন ডলার। এখন ট্যাক্স যদি সাময়িকভাবে বাড়ানো হয় বা অন্য যে ফ্যান্সি আইটেমগুলো আছে সেগুলোতে ট্যাক্স বাড়ান, এ বিষয়গুলো আলোচনা করে ২-৩ দিনের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনাদের কাছেও আমাদের একটি আবেদন, গঠনমূলক জিনিসগুলো আলোচনা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সারা পৃথিবীই কিন্তু ভুগছে। কালই দেখলাম নাইন পারসেন্ট মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে গ্রেট ব্রিটেনে। আমেরিকাতে এইট পারসেন্টের বেশি। আমরা তো ওয়ার্ল্ডের বাইরে নই, আমরা তো ওয়ার্ল্ডের অংশ। সেক্ষেত্রে আমাদেরও হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও রেশনাল বিহেভ করতে হবে। সেজন্য আমরা মিডিয়াকে অনুরোধ করব, একটু পজিটিভওয়েতে প্রচার করার জন্য। আমরা সবাই যেন একটু সাশ্রয়ী থাকি বা রেশনাল থাকি।’