সুদ কমিয়ে ফেলা এবং ক্রয়ের সময় নানা শর্তের কড়াকড়িতে এক বছরে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি অর্ধেকের নিচে নেমে পড়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত অর্থবছরে নতুন করে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। এসময়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙানো বা তুলে নেওয়ার বিপরীতে গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ করা হয় ৮৮ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা ও মুনাফা পরিশোধ করা হয় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট বিক্রি ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
যা বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের হার কম এবং পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দার কারণে গত কয়েক বছর ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সঞ্চয়পত্র বিক্রি। এতে সরকারের ঋণের বোঝা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছিল।
এরপর সুদ ভর্তুকি কমিয়ে আনতে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করে সরকার। এর অংশ হিসেবে মুনাফা কমিয়ে ক্রয় সীমায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ ও সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা হয়। এর প্রভাবে বিক্রি কমে আসে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।