মাসুদ রানা লেমন| রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: প্রবাদ বাক্য- ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনা, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ হাটে প্রতিনিয়ত চলছে টোল বাণিজ্য। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন বাণিজ্য চলছে বলে জনসাধারণ অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও করোনার নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চলছে হাটে কেনা বেচা কার্যক্রম।
আজ রবিবার ( ২৩ মে ) নেকমরদ হাটে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইজরাদার গরু ও ছাগল ক্রয় বিক্রিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। গরু প্রতি ৩২০ টাকা এবং ছাগল প্রতি ১২০ টাকা হারে লেখাইদার কতৃর্ক টোল আদায়ের অনেক
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে।
জানাযায়, সরকারী নীতিমালা অমান্য করে ইজরাদার প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে প্রতি হাটে অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করছেন।
উল্লেখ্য যে, বর্তমান করোনা মহামারীতে সরকারী বিধি নিষেধ যে,জনসমাগম তথা পশুর হাট বসানো নিষেধ থাকা সত্বেও তা ইজরাদার অমান্য করে প্রতি হাটে পশুর হাট বসিয়ে জনসমাগম করছে ফলে করোনা সংক্রমনের ঝুকিঁ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ার শংকা রয়েছে। এ দিকে আবারও সরকার ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে। তবে এই লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ইজরাদার হাট বসিয়ে একদিকে জনসমাগম করছে অন্যদিকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে ফলে জনসাধারণ ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গরু প্রতি ৩২০ টোল আদায় এবং ছাগল প্রতি ১২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে যা টোল আদায়ের রিসিভে উল্লেখ করা হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার প্রমান হিসেবে ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে।
অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে ইজাদার মোমিনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রীতম সাহাকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, আমি একটি বিশেষ অভিযানে রয়েছি। আপনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে বলেন, সে অনুপাতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীর স্টীভকে জানালে তিনি বলেন বিষয়টি আমি এক্ষুনি দেখতেছি, তবে শেষ পর্যন্ত তার কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।