জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ। বুধবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে রামপালের ২য় ইউনিটটি (১৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার) জাতীয় গ্রিডের সাথে সিনক্রোনাইজড হয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আজ সকাল থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ঈদের ছুটির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় এখন এই ইউনিটি থেকে পূর্ণ ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে না। তবে চাহিদা থাকলে পরবর্তীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হবে।
এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি চালুর পর শুরুতে যান্ত্রিক ত্রুটিতে কিছুদিন বন্ধ রাখা হয় কেন্দ্রটি। এরপর শুরু হয় কয়লা সংকট। যে কারণে গত কয়েকমাসে একাধিকবার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপরে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয় ২০১০ সালে। ২০১২ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিসিপি লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২০১৩ সালে এর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।