রংপুর মহানগরের আওতাধীন ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আনন্দলোক ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়। ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়টিতে চলছে ফরম পূরণের নামে চলছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কৌশলে চাঁদা আদায়। চাঁদার টাকা দিতে অভিভাবকদের করতে হচ্ছে ঋণ।

কেননা সভাপতি, অধ্যক্ষ ও কমিটির সদস্য খবির উদ্দিনের নির্দেশ এক টাকা কম নেয়া হবে না। তাই সকল অভিভাবকদের হতে হচ্ছে অন্যের কাছে ঋণী। গত ১৩ অক্টোবর ঘটনাটি জানতে পেয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় আনন্দলোক মহাবিদ্যালয়ে ফরম পূরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক নেয়া হচ্ছে অধিক অর্থ।

যার যোগান দিতে গিয়ে কষ্ট হচ্ছে অনেক অভিভাবকদের কিন্তু কিছু করার নেই, যে কোন মূল্যেই পরিষদ করতে হবে ফরম পূরণের টাকা। তা না হলে দিতে পারবে না পরীক্ষা। ফরম পূরণে মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ৮০০ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৪৫০ টাকা সহ অতিরিক্ত উন্নয়ন ফি বাবদ ১৫০০ টাকা,মসজিদ ফি ১০০ টাকা,ব্যবস্থাপনা ফি ৫০০ টাকা,পাঠ বিরতি ফি ১০০ টাকা, কল্যাণ ও বিদ্যুৎ ফি ১৫০ টাকা মোট ২৩৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এ যেন জোর পূর্বক আদায় করা হচ্ছে চাঁদা !

এ বিষয়ে উক্ত মহাবিদ্যালয়ে উপস্থিত রংপুর জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম দুখু জানান, হাবু এলাকার মতলেব মিয়া একজন দিনমজুর তার দুটি মেয়ে মারুফা ও আয়শা আনন্দলোক মহাবিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে। আয়শা ডিগ্রী ১ম বর্ষের ছাত্রী। সরকার ঘোষিত উপবৃত্তি কোন বোনই পায়না। আজ আয়শার ফরম পূরণের শেষ দিন। তার বাবা কষ্ট করে কিছু টাকা যোগাড় করে মেয়ের হাতে দেন কিন্তু কলেজে এসে আয়শার কঁপালে হাত !

ফরম পূরণ বাবদ তার ধরা হয়েছে ৬৩০০ টাকা। ফরম পূরন করতে হলে ৬৩০০ টাকাই লাগবে। এক টাকা কম হলে ফরম পূরণ হবে না। যেখানে মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে একই প্রতিষ্ঠানে দুইটি সন্তান পড়লে একটু সুনজর দেয়া হয়। এখানে যার কিছুই করা হয়নি।

কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে আমার স্বরণাপন্য হলে আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী বাবু দুলাল ও অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা সাফ জানিয়ে দেয় সভাপতি হরিহর ও সদস্য খবির উদ্দিন বলেছেন এক টাকা কম দিলে ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না। অবশেষে নিজের টাকা ভূর্তকি দিয়ে আমি আয়শার ফরম পূরণের ৬৩০০ টাকা দিয়ে দেই। একজন অভাব গ্রস্থ দিন মজুর ব্যক্তির কাছেও যদি কোন টাকা কম না নিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে তাহলে, তাদের অবস্থা কি হবে ?

শুধু তাই নয় বর্তমান অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম অত্র প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয় পরবর্তীতে অবৈধভাবে প্রভাষক হন প্রভাষক থেকে উপাধ্যক্ষ এবং বর্তমান তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্বরত আছেন।

ফরম পূরণের বিষয়ে অফিস সহকারী বাবু দুলাল এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি উপযুক্ত জবাব দিতে না পেরে ভিত্তিহীন কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তাদের এই দুর্নীতি মূলক কাজ বিগত কয়েক বছর ধরে চলে আসছে। এভাবে তারা তাদের দূর্নীতির হাত শক্তিশালী করেছে।

নাম প্রকাশ না করতে চাওয়া আরো অনেকই বলেন তারা সব সময় প্রতিষ্ঠানের ভিতরে দূর্নীতি করে আসছে। তাদের এরকম অন্যায় মূলক কাজের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর সঠিক বিচার কামনা করছি।