আল সামাদ রুবেল,বিনোদন প্রতিবেদক: ঢালিউডের রাজপুত্র ছিলেন সালমান শাহ্। যে কেউই এ কথা অকপটে স্বীকার করবেন। প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এ দুর্দান্ত পর্দা উপস্থিতি ঘটিয়ে আকাশ ছোঁয়া সাফল্যকে করে নিয়েছিলেন মুঠোবন্দি। এই সাফল্যপ্রাপ্তির বিষয়টিকে ঘিরে সে সময় বলা হতো ‘সালমান এলেন, অভিনয় করলেন, জয় করলেন কোটি দর্শকের হৃদয়’। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা এ নায়কের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৯৯৬ সালের এই দিনে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। কিন্তু তার দাপুটে অভিনয় তাকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে কোটি ভক্তের হৃদয়ে। আর স্মৃতিতেও উজ্জ্বল হয়ে আছেন তিনি। সালমান শাহ্র জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর নানাবাড়ি দাড়িয়াপাড়া, সিলেটে। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। কিশোর বয়সে তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। তবে তারুণ্যের সূচনালগ্নে চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকেই শোবিজ অঙ্গনে তার ঔজ্জ্বল্য বাড়তে থাকে দ্রুতগতিতে। দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় ‘সালমান ঝড়’। আর সে ঝড়ের তা-ব কোটি ভক্তের হৃদয় আন্দোলিত করে ভালোলাগার অবিরাম স্নিগ্ধতা দিয়ে। সালমান চলে যাওয়ার ২৫ বছরেও যার আবহ বয়ে চলেছে নিরন্তর। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক। এরপর স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে সালমান শাহ ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রায় প্রতিটি ছবিই ব্যবসা সফল ছিল। সালমান অভিনীত অন্য ছবিগুলো হচ্ছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেমযুদ্ধ’, ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন, ‘তোমাকে চাই, ‘স্বপ্নের পৃথিবী, ‘সত্যের মৃত্যু নাই, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভিতর আগুন’।