যুক্তরাজ্যে করোনায় মারা গেছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। শনিবার একদিনেই মারা যায় ৩১৩ জন।

এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মৃত্যু হয় ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৭ জনের। যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খবর আনাদোলু ও বিবিসির।

মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান এখন সপ্তম। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, মেক্সিকো ও পেরুর পরেই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাজ্যের স্থান।

ইউরোপে করোনা মহামারির ভয়াবহ রূপ দেখেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্ত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে মারা গেছেন তারা। স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাজ্য সরকার এসব তথ্য জানায়।

যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩১৩ জন। ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে শুধু রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ জন মারা গেছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনার চলমান প্রকোপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিশাল সংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গত শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, হাসপাতালে কর্মীদের সহায়তা করতে সেনা সদস্যদের পাঠানো হবে।

যুক্তরাজ্যের সরকারি হিসাব বলছে, করোনার এবারের ধাক্কায় হাসপাতালে ভর্তি কিংবা মৃত্যুর হার বেশ কম। দেশটিতে করোনার প্রথম ঢেউয়ে এই হার তুলনামূলক অনেক বেশি ছিল। সেই সময় অবশ্য টিকা পাননি ব্রিটিশ নাগরিকরা।

সব কিছুর মধ্যে লোকজনকে টিকার বুস্টার ডোজ নিতে তাগিদ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটিতে ১২ বছরের বেশি ৬১ শতাংশ মানুষ এর মধ্যেই বাড়তি এই ডোজটি নিয়েছে। তবে এখনও অনেকেই টিকার কোনো ডোজ নেয়নি। তাদের টিকাদানের আওতায় আনতে তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার।