চাঁদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে ৮৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৫ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
এতে আক্রান্তের হার ৩৮ দশমিক ৯০ ভাগ। চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যে ১৩ জন মারা যান তারা হচ্ছেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া এলাকার জাহানারা বেগম (৬৫), বহরিয়ার আব্দুল লতিফ (৬৫), রাজরাজেশ্বরের নাসির উদ্দীন (৭৫), হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৫০), ভিঙ্গুলিয়ার মমতাজ বেগম (৬০), ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়ার জামাল শেখ (৯৫), হর্ণিদূর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (৪৫), বাজনাখানের মমিন সর্দার (৬৫), মতলব দক্ষিণ উপজেলার দীঘলী গ্রামের ফুল ভানু (৫০), আড়ংবাজারের ছালেহা বেগম (৫২), মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামের রেহানা আক্তার (৩৫,), শাহরাস্তি উপজেলার শোরশাক গ্রামের নূরুল ইসলাম ৭০), এবং শরীয়তপুরের সখীপুর উপজেলার মোহাম্মদ হোসেন (৬০)। চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও করোনাবিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, এসব রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সর্বোচ্চ ৬০ ছিল।
ফলে শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় তারা মারা যান। চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬৫ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্তের হার ৩৮ দশমিক ৯০। তিনি আরো জানান, আজকালের মধ্যে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থেকে রোগীদের ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হলে মৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পাবে। কারণ, গতকাল সোমবার রাতেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে চট্টগ্রাম থেকে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে, শুরু থেকে এই পর্যন্ত চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি। আর করোনায় মারা গেছে ১৭৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।