ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর থেকেই বাড়ছে শরণার্থীর সংখ্যা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ প্রায় ১৫ লাখ মানুষ অন্য দেশে চলে যাবে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। এ সংখ্যা ৪০ লাখের ঘরে পৌঁছাতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

সারি সারি বিছানা, একই ছাদের নিচে অসংখ্য মানুষ। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সবাই রয়েছেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে। বৃদ্ধদের কপালে দুশ্চিন্তার স্পষ্ট রেখাগুলো বলে দিচ্ছে নিজ দেশের মাটি ছেড়ে, অন্যদেশের শরণার্থী হওয়ার গল্প।

স্থানীয় সময় শনিবার শত শত ইউক্রেনের নাগরিক আশ্রয় নেন মলদোভার একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, কেউবা একা।

একজন নাগরিক বলেন, আমরা এখানে কোন রকমে পৌঁছাতে পেরেছি। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদেরকে এখানেই থাকতে হবে। আমরা জানি না আমরা কোথায় যাব। আত্মীয় স্বজন, স্বামী-সন্তান সবাইকে রেখে চলে আসতে হয়েছে।

রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে ভয়-ভীতি আর শংকার মধ্যে দিয়ে কাটছে ইউক্রেনবাসীর দিন। প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে পাড়ি জমাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র আর কয়েকটি জামা-কাপড় ছাড়া কোনো কিছুই সঙ্গে আনতে পারছে না তারা।

এদিকে ইউএনএইচসিআর- এর প্রধান বলেছেন, সপ্তাহের শেষের দিকে কয়েক লাখ লোক ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে পারে। তার ধারণা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি প্রধান আরও বলেন, আমরা যেমনটা ভেবে রেখেছিলাম এ সংখ্যা তার থেকে বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। যা আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এদিকে, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে পোল্যান্ডের ট্রেনে উঠার আশায় লভিভের রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মাঝেও ভিড় করছেন শরণার্থীরা।

 

কলমকথা/ বিথী