‘অবাকে কায়দান’ জাপানের একটি পাথুরে সিঁড়ির নাম। রহস্য এই সিঁড়িকে ঘিরেই। জাপানের রাজধানী টোকিওর নেজু জেলার এই সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ৪০ ধাপ উঠতে হয়। কিন্তু নামার সময় নাকি বেমালুম কমে যায় একটি ধাপ। অদ্ভুত এই বৈশিষ্ট্যের জন্য স্থানীয়রা সিঁড়ির নাম দিয়েছেন অবাকে কায়দান। জাপানি ভাষায় এর অর্থ ভূতের সিঁড়ি।
এই ‘ভূতের সিঁড়ি’ বেয়ে ওঠা নামা আক্ষরিক অর্থেই ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা ছিল এক সময়ে। অন্ধকার গলিতে এই সিঁড়ির উঁচু নিচু ধাপ, আশেপাশে গজানো ঘাস, স্যাঁতসেঁতে আলো আঁধারি পরিবেশ মিলিয়ে বেশ ভূতুরে একটা আবহ তৈরি হত। এখন অবশ্য টোকিওর ওই ‘কায়দান’ অনেকটা প্রশস্ত।
ঝকঝকে রেলিংও বসেছে তার মাঝ বরাবর। সিঁড়ি নিয়ে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে নানা গল্প। অবশ্য ‘অবাকে কায়দান’ এর অবাক করা ধাঁধার সমাধান রয়েছে চোখের সামনেই। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, পাথুরে সিঁড়ির প্রথম ধাপটি প্রায় মাটির সঙ্গে ঠেকে রয়েছে।
যা ওঠার সময় চোখে পড়লেও নামার সময় এড়িয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। আসলে ওঠার সময়ই সিঁড়িকে পায়ে দলে উঠি আমরা, নামার সময় ভুলে যাই, টোকিওর অবাকে কায়দানকে মানুষের সেই স্বভাবেরই প্রতিফলন বলছেন মনোবিদরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।