ইউক্রেনে এ বছর পবিত্র রমজান মাসে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছেন দেশটির মুসলিমরা। চারপাশ থেকে গুলি আর আকাশ থেকে বোমা পড়ার আতঙ্কের মধ্যেই রোজা এবং ইফতার পালন করতে হচ্ছে তাদের। দেশটিতে জনগণের খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ মুসলিম, বেসরকারি হিসেবে অনুমান করা হয়, মুসলিমদের সংখ্যা হয়তো এক শতাংশের কাছাকাছি হবে।
গত দুটি রমজানে তারা কোভিড মহামারির কারণে সেভাবে কোন উৎসব করতে পারেননি। তাই এবার খুব আগ্রহ নিয়ে রমজানের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু এবার যুদ্ধের কারণে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। ভিক্টোরিয়া বলছেন, ‘যুদ্ধের ভয়ংকর সব দৃশ্য সারাক্ষণ আমার মাথার মধ্যে ঘুরছে। কিয়েভের কাছে রুশ সৈন্যদের হাতে শিশু সহ বহু বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। এবারের রমজানে সেই পবিত্র আবহটা আমি অনুভব করতে পারছি না, আমার মন খুব বিষাদগ্রস্ত।’
ভিক্টোরিয়া নেস্টেরেংকো তার এনজিওর মাধ্যে সামরিক-বেসামরিক সব মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন ব্যাপারটা হচ্ছে নিজেকে নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক-ভাবে প্রস্তুত করা। আমার আরও বেশি করে কোরআন পাঠ করা দরকার, আরও বেশি সময় ধরে নামাজ পড়া দরকার।
কিন্তু এখন ইবাদতে মন দেয়া খুব কঠিন, কারণ আমরা যেরকম মানসিক চাপ আর অবসাদের মধ্যে আছি।’ নিয়ারা বলছেন, ‘আমরা এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্য মানুষদের সঙ্গে একসাথে ইফতার করি। আমরা পরস্পরকে সাহায্য করি।
আমরা ধনী মুসলিমদের প্রতি আবেদনও জানাচ্ছি যেন তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া লোকজনকে খাবার দিয়ে সাহায্য করেন। আমরা সচরাচর যে ধরনের খাবার খাই, সেরকম খাবারই রান্না করার চেষ্টা করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখানে হালাল মাংস পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে কিছু হালাল মুরগী পাওয়া যায়।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।