নাসার ওয়েব টেলিস্কোপের এনআইআরক্যামের ২.১২ মাইক্রন ফিল্টারে তোলা বৃহস্পতি গ্রহ
অত্যাধুনিক মহাকাশ টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব দিয়ে তোলা মহাকাশের বিভিন্ন ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
এবার তারা প্রকাশ করেছে বৃহস্পতি গ্রহের চোখ ধাঁধানো ছবি।
নাসার তোলা এসব ছবিতেহ সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির বলয় ছাড়াও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে এর তিন চাঁদ- ইউরোপা, থিব ও মেটিস।
ওয়েবের যন্ত্রপাতি গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত কি না, তা যাচাই করতে ১২ জুলাইয়ের আগে তিনবার বৃহস্পতির ছবি তুলেছেন নাসার গবেষকরা। সেই ছবিগুলো এখন প্রকাশ করা হচ্ছে ‘স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের ‘মিকালস্কি আর্কাইভ ফর স্পেস টেলিস্কোপে’।
প্রথম ছবিতে বৃহস্পতিবার বলয় দেখা না গেলেও আছে গ্রহটির চাঁদ ইউরোপা। এমনকি ‘গ্রেট রেড স্পট’ নামে পরিচিত বৃহস্পতির পৃষ্ঠের দানবীয় ঝড়টিও দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। নাসা বলছে, এই ঝড় এতোটাই বড় যে পুরো পৃথিবীকে ঘিরে ফেলতে পারবে।
তবে ওয়েব টেলিস্কোপের ‘নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা’বা এনআইআরক্যামের শর্ট-ওয়েভলেন্থ ফিল্টারের মাধ্যমে তোলা ছবিগুলোর প্রক্রিয়াজাত করার কৌশলের কারলে লাল রঙের বদলে সাদা রঙে ফুটে উঠেছে ‘গ্রেট রেড স্পট’
ছবিতে বৃহস্পতির পাশেই ইউরোপা। বৃহস্পতির এই চাঁদ নিয়েও মহাকাশবিজ্ঞানীরা কৌতুহলী। তাদের ধারণা, উপগ্রহটির পুরু বরফের স্তরের নিচে একটি সাগর লুকিয়ে আছে। নাসার আসন্ন ‘ইউরোপা ক্লিপার’ মিশনের মূল লক্ষ্য বৃহস্পতির এই উপগ্রহ। ‘গ্রেট রেড স্পট’-এর পাশে ইউরোপার ছায়াও ধরা পড়েছে ওয়েবের ছবিতে।
এদিকে নাসার প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে নক্ষত্রের জন্মস্থান। সেই ছবিটি সকলের নজর কেড়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।