গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের সফর শেষ করেছেন। তার এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন ‘মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন’ থেকে অব্যাহতি চাওয়ার জন্য।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত, কিছুই অর্জন হয়নি এবং মার্কিন-ইউরোপ সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এতে করে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করবে না বলে মন্তব্য করেছে সিএমজি সম্পাদকীয়।

সিএমজি সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ফ্রান্সকে অভ্যর্থনা জানাতে যুক্তরাষ্ট্র একটি উচ্চ-স্তরের রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আয়োজন করে এবং রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত একটি সমৃদ্ধ ভ্রমণের ব্যবস্থা করে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেয়নি। ম্যাখোঁর এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফর নামমাত্র রাষ্ট্রীয় সফর হলেও প্রকৃতপক্ষে তা ছিল বিচার চাওয়ার জন্য।

চলতি বছরের অগাস্ট মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইনে’ স্বাক্ষর করেছিলেন। এতে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা বিশ্বাস করে যে, এই আইনে বাণিজ্য সংরক্ষণবাদের প্রকাশ ঘটেছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে।

ইউরোপীয় শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়া আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে তাদের ‘উৎপাদন লাইন’ যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নিতে বাধ্য করবে।