ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকেই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সঙ্গে কারও কারও সর্দি-কাশি থাকছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি হলে সেটাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু বলা হয়। কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি জ্বর হয় আর সাধারণ ফ্লু হলে লক্ষণ কিন্তু মোটামুটি এক থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাল জ্বর খানিকটা ছোঁয়াচে। সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকেই এই রোগ ছড়ায়। সাধারণ ভাইরাল জ্বর হলে জ্বরের পাশাপাশি পেশিতে ব্যথা, মাথাব্যথা ক্লান্তি সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং মাঝে মধ্যে জ্বর আসা, ঘনঘন ঠান্ডা লাগা, বারবার গলা শুকিয়ে যায়।

অনেক সময় তাপমাত্রা খুব বাড়তে থাকে। তাছাড়া শরীর ক্লান্ত হয়ে কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায়। ভাইরাল জ্বর থেকে সুস্থ হতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করতে পারেন।

যেমন-
শরীরকে হাইড্রেড রাখার চেষ্টা করুন। বারবার পানি খান। তবে পানি যে সবসময় খেতে ভালো লাগবে তা নয়। ফলের রস বারবার খেতে থাকুন। চার ঘন্টার ব্যবধানে বারবার ওষুধ খান। প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে অন্য কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

আপনার যদি হাঁচি-কাশি হতে থাকে তাহলে অবশ্যই মুখে রুমাল চাপা দিয়ে হাঁচবেন। না হলে আপনার এই ভাইরাসটিতে পরিবারের অন্য সদস্যদের আক্রান্ত হতে পারেন।

ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে বেশি করে ফল, শাকসবজি অর্থাৎ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। সেই সঙ্গে খেতে পারেন ডিম, দুধও। যদি আপনার খুব শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে কখনোই পাড়ার দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ এনে নিজে খেতে যাবেন না। অনেক সময় এই ওষুধগুলি কিন্তু এই রোগের জন্য ঠিক নাও হতে পারে। তাই শরীর খারাপ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শরীরকে বিশ্রাম দিন। ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে ধূমপান করবেন না, তাহলে আপনার শ্বাসযন্ত্র ঠিকঠাক ভাবে কাজ করবে না। আপনার শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এসময় কখনোও ব্যয়াম বা বেশি হাঁটাচলা করবেন না। পারলে প্রচুর পরিমাণে ঘুমান।

সেই সময়ে আপনার প্লেট থেকে শুরু করে অন্য কোনো জিিনসও কাউকে দেবেন না। কারণ আপনার এই ভাইরাস কখনোও অন্য কারোর শরীরে লাগলে তিনিও সেই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।