শারীরিক সুস্থতার জন্য খাবার গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য সমানবাবে খাদ্যের প্রভাব রয়েছে। যেমন- মিষ্টি খেলে অনেকের মন ভাল হয়ে যায়। খাবারের মধ্যে তেঁতো কোনও জিনিস মুখে চলে গেলে তা বিরক্তিকর কারণ হয়ে যায়। সুস্বাদু কোনও খাবার জিভে পড়লেই মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির পিছনে খাবারের বৈচিত্রের একটি ভূমিকা রয়েছে। এমন কী কী খাবার রয়েছে, যার জন্য আপনার মন বিষন্ন হয়ে যেতে পারে। মনের শান্তি বজায় রাখতে সেইসব খাবার থেকে এড়িয়ে চলাই ভাল।
চিনিযুক্ত খাবার:
চিনিযুক্ত খাবারগুলি এড়ানো যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ নয়। তবে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এটি অবশ্যই করতে হবে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যা মেজাজকে অনেকাংশে প্রভাবিত করতে পারে।
গ্লুটেন:
কিছু গবেষণায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির একটি বর্ধিত উদাহরণের সঙ্গে গ্লুটেনের লিঙ্কের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিদিনের ডায়েটে এর ব্যবহার সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই:
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই যে সকলেরই বেশ প্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই জাঙ্ক ফুডটি স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। এটি ট্রান্স ফ্যাটের একটি উৎস যা বিষন্নতার ঝুঁকি বাড়ানোর জন্যও পরিচিত।
প্রসেসড খাবার:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকি। তবে আপনি যদি দুশ্চিন্তা, দুঃখ বা বিষণ্ণতা এড়াতে চান তাহলে প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব খাবার আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
অধিক পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট:
পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া মানসিক বিষন্নতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। একটি সুস্থ মন এবং শরীর নিশ্চিত করার জন্য একজনকে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট খাবারের ব্যবহার যতটা সম্ভব সীমিত করার চেষ্টা করতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।