আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ফর্সা হওয়ার জন্য অনেক ধরনের পন্য ব্যবহার করে থাকে,কিন্তু এসব পন্য আমাদের ত্বক এর জন্য প্রচন্ড ক্ষতিকর।আমরা এটা মানতেই চাই না যে ফর্সা নয় ফ্রেশ মানেই সুন্দর।আর ফ্রেশ থাকতে ত্বক এর যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ত্বকের যত্নের সব থেকে নিরাপদ ও কার্যকারী উপায় হলো প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পরিচর্যা।

চুলের পরিচর্যাঃ মেয়ে এবং ছেলে সবার একটা কমন সমস্যা হলো চুল পড়া।এই চুল পড়া নিয়ে প্রচুর ঝামেলা পোহতে হয় সবার।এই চুল পড়া কমাতে পেঁয়াজের রস খুবই উপকারী।কারণ পেঁয়াজ ত্বক ও চুলের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে। এতে  রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান তা ত্বক ও চুলকে রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজে ভিটামিন, মিনারেল, সালফার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি রয়েছে প্রচুর। সালফার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুল পড়া বন্ধ করে এবং অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

প্রথমে আপনাকে একটি পেঁয়াজ কেটে তার রস বের করে নিতে হবে,এর পর তার সাথে ২টেবিল চামচ লেবুর রস এবং কিছুটা নারিকেল তেল/অলিভ ওয়েল মিশিয়ে হাল্কা গরম করতে হবে।এবার এই গরম তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে করে লাগাতে হবে।তেল লাগানোর ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পুর সাথে ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে (কন্ডিশনার ব্যবহার করলে আরো ভালো)। সপ্তাহে ২ দিন করে এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া এবং খুশকি দুটোই দূর হবে।

মুখমন্ডলের পরিচর্যাঃ অনেকেই অমসৃন ত্বক নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন।আবার সান বার্ন এর দাগ এর জন্য স্কিন টোন নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়েও বিপাকে পড়েন।তাদের জন্য এই ফেসপ্যাকটি অনেক উপকারি।

এই ফেসপ্যাক এর জন্য আপনার প্রয়োজন চন্দন গুঁড়ো,কাঁচা দুধ,আলুর রস। ২টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়োর সাথে,১টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, এবং ১ টেবিল চামচ আলুর রস মিশিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখবেন। ১৫ মিনিট পর হাল্কা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এবং একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।সপ্তাহে ৩ দিন করে টানা ১ মাস ব্যবহার করলে অবাক করা ফল পাবেন।

পায়ের পরিচর্যাঃ অনেকেই শীতে পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন,এই পা ফাটার সমস্যা দূর করতে পায়ের গোড়ালিতে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন।দেখবেন খুব শীগ্রহী উপকার পাবেন।আর পানি কম খেলেও পা ফাটার সম্ভাবনা থাকে।তাই শীত কালে বেশি বেশি পানি পান করবেন।