তরমুজ, পেস্তা, জাফরান, ডার্ক চকলেট, ডাবের পানি, কলা। আরো আছে- মিষ্টি কুমড়া, গাজর, রসুন, আপেল, দুধ, মধু, কফি, বিট, বাদাম, চেরী, দেশী মূরগী। আরও আছে, ডিম, মাছ, পালং শাক, খেজুর, মিষ্টি আলু, কফি, স্ট্রবারী, পেঁয়াজ।
মানুষ তাদের যৌন শক্তি লাভ করে থাকে খাবার দাবার থেকেই। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন। আমাদের আশেপাশে তথাকথিত হারবাল, কবিরাজ, ভেষজ নামধারী ভুয়া যৌন ডাক্তারদের অভাব নেই। দেখা যায়, সাধারণ মানুষজনই তাদের খপ্পরে বেশি পড়ে থাকে আর যৌন শক্তি আগে যতটুকু ছিল তাদের চিকিত্সা নিতে নিতে একসময় সেটাও হারাতে বসে। কাজেই পুষ্টিকর খাবার খান। ফিট থাকুন। হিট থাকুন। সুখী থাকুন।
কর্মব্যস্ত জীবন, খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা ইত্যাদি কারণে নানা অসুখ যেমন ঘাঁটি গাড়ছে শরীরে, তেমনই প্রাত্যহিক জীবন থেকে সরে যাচ্ছে যৌনতার ইচ্ছা। দেশ-বিদেশের নানা গবেষণায় প্রমাণিত, প্রতি দিনের জীবনে যত কাজের চাপ বাড়ে, ততই হ্রাস পায় লিবিডো বা কামেচ্ছা। এ দিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে গেলে সুন্দর যৌন জীবনও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরচর্চা ছাড়াও নিয়মিত যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে কিছু খাবারও। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতা দুই-ই বৃদ্ধি পায়। শরীরের শক্তিবৃদ্ধি ও অবসাদ কাটাতেও এ সব খাবার বিশেষ কার্যকর। দেখে নিন সে সব।
তরমুজ: ভায়াগ্রার সমান কাজ করে এই ফল। সম্প্রতি নানা গবেষণায় প্রমাণিত, শুধু শরীরে জলের মাত্রা বাড়ানো এবং ওজন কমাতেই সাহায্য করে না তরমুজ, বরং যৌন ইচ্ছা বাড়াতেও একই রকম সাহায্য করে এই ফল। এর সিট্রোলিন অ্যামিনো অ্যাসিড লিবিডোর মাত্রা বাড়ায়। ফলে কামেচ্ছা ও যৌন ক্ষমতা দুই-ই বাড়ে।
আমন্ড এবং পেস্তা: আমন্ডে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যে সব খাবার ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, তাদের মধ্যে আমন্ড অন্যতম। তাই নারী-পুরুষ নির্বিশেষ এই খাবার যৌনাকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে তোলে। আবার লিবিডো বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে পেস্তা। এটি তামা, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজ একটি বিশাল প্রাকৃতিক উৎস। শুক্রাণুর ঘনত্ব বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে পেস্তা।
জাফরান: যৌনশক্তি বৃদ্ধি ও কামেচ্ছাকে স্বাভাবিক রাখতে এই ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাফরান যেমন মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে তেমনই এটি রক্তে ইস্ট্রোজেন, সেরোটোনিন ও অন্যান্য ফিল-গুড হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। তাই অনেক ফিটনেস এক্সপার্টই দুধে জাফরান মিশিয়ে খাওয়ার পক্ষপাতী। লিবিডো বৃদ্ধিতে এই খাবার বিশেষ উপকারী।
ডার্ক চকোলেট: প্রতি দিন দু’টুকরো করে ডার্ক চকোলেট রাখুন খাদ্যতালিকায়। কেবল লিবিডো বৃদ্ধিতেই সাহায্য করবে এমনই নয়, বরং দীর্ঘ দিন অনভ্যস্ত যৌন জীবনকেও খুব তাড়াতাড়ি ছন্দে আনে এটি। এতে এল-আর্জিনিন অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক মাত্রায় রেখে উদ্যমী করে তোলে।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: শরীরে পটাশিয়াম কমে গেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে তা লিবিডো বৃদ্ধি করতেও বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই কলা, শুকনো খুবানি, নারকেলের জল ইত্যাদি খাবার প্রতি দিন রাখুন খাদ্যতালিকায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।