বাংলাদেশ সবুজ অভয়ারণ্যের দেশ। স্বভাবতই প্রাকৃতিকভাবে গাছপালা বেশি। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকা বা সমূদ্রবর্তী বা বড় নদী ঘেঁষে এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা বেশি হয়। বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে গিয়ে লাইনের পরিমাণও বেড়ে গেছে। ফলে সবুজ অভয়ারণ্যের পাশদিয়ে, রাস্তার পাশদিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন করতে হয়েছে।
বৈদ্যুতিক লাইনের আশেপাশের গাছপালা সময়মতো কাটা হলেও উপকূলীয় কিংবা সমূদ্রবর্তী এলাকা হওয়ায় বৃষ্টি হলেই দেখা যায়, গাছের গোড়ার মাটি ক্ষয় হয়ে পুরো গাছটি বৈদ্যুতিক লাইনে পড়ে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত করছে, হয়তো তার ছিঁড়েছে নয়তো ক্রস-আর্ম ভেঙ্গেছে, কখনো আবার পোল হেলে পড়েছে কিংবা পোল ভেঙে গেছে। ফলে পুরো বৈদ্যুতিক লাইনটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ জানাইলে লাইন মেরামত করে চালু করতে সময় কম লাগে। নতুবা আমাদের কর্মীদের খুঁজে বের করে লাইন চালু করতে সময় অনেক বেশি লেগে যায়।
এই ঝড়বৃষ্টি কিংবা দূর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের বৈদ্যুতিক বিতরন লাইনের, যা সম্পূর্ণরূপে সচল করতে সময় লাগে। এই মহামারী পরিস্থিতিতে করোনা দূর্যোগ চলাকালীন সময়েও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা,কর্মচারীগন নিজের ও নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
দয়া করে কেউ এদের অসম্মান করবেন না। আপনি শুধু ভাবছেন আপনার বাসায় কেন বিদ্যুৎ নাই?? কিন্তু আমরা কাজ করি আপনার মত লক্ষাধিক গ্রাহকের জন্য, কতো দ্রুত লাইন সমূহ পূনঃ স্থাপন করা যায়। তাই যেকোন পরিস্থিতিতে আমাদের সেবা সমূহকে দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
১) ঝড়বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন।
২) যেকোন ঝড় পরর্বতী সময়ে আপনার বাড়ীর আশেপাশে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে কোন গাছপালা পরলে তা দ্রুত নিকটবর্তী অফিসকে অবহিত করুন।
৩) বৈদ্যুতিক কোন তার ছিড়ে পরলে তা স্পর্শ না করে অতিদ্রুত নিকটবর্তী অফিসকে জানানো এবং অফিসের লোক না আসা পর্যন্ত উক্ত স্থানে পাহারার ব্যবস্থা করা, যাতে কেউ ছিড়া তারটি স্পর্শ না করে। এতে হয়তো বড় ধরণের বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা হতে রক্ষা বা কারোর জীবন বাঁচতে পারে।
৪) আপানাদের গ্রাহক প্রান্তে বিদ্যুৎ বিভাগের লোক কাজ করার সময় দ্রুততার সহিত কাজ করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে জনবল দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
যারা আপনার বাসায় বিদ্যুৎ প্রদান এবং বৈদ্যুতিক লাইনে প্রতিনিয়ত কাজ করেন তারা মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করেন। যেকোন পরিস্থিতিতে বা একটি ভুল হলেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট এলাকার অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নং- বিদ্যুৎ বিলের পিছনের অংশে দেয়া আছে।