সাইফুর নিশাদ,নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খানকে নিজ বাসায় গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে শিবপুর থানার সন্নিকটে (পূর্বদিকে) নিজ বাসভবনে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। গুলিগুলো তার পিঠে লেগেছে বলে জানা গেছে। গুলির শব্দ শুনে বাসার ও আশপাশের লোকজন দ্রুত বের হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে শত শত নেতাকর্মী শিবপুর থানা ঘেরাও করে। শহরের বিভিন্ন সড়কে টায়ার ও কাঠে আগুন লাগিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ ছাড়া ঢাকা মনোহরদী সড়কের শিবপুর কলেজ গেট, শিবপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেড সৃষ্টি করে। এতে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শত শত উত্তেজিত নেতাকর্মী পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়। স্থানীয়রা জানায় পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।
শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঞা রাখিল জানান, ভবনের তিন তলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। সেকেন্ড ফ্লোরে প্রাইম ব্যাংকের কার্যালয়। প্রধান ফটকে কেচি গেট এবং বাড়িটি সিসি ক্যামরার আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকেরও সিসি ক্যামেরা রয়েছে। থানার অতি সন্নিকটে এমন একটি সুরক্ষিত স্থানে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ও গুলিবর্ষণের ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো জেলাজুড়ে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, মসজিদের জন্য টাকা চাইলে চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই কেচি গেট খুলে দেন। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা তার পীঠের মধ্যে তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।