সুকৌশলে জিন সেজে প্রতারণার মাধ্যমে এক নারীর কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত জীনকে আটক করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের চন্দ্রীমা থানা পুলিশ।

গত ২৩ নভেম্বর (বুধবার) ঢাকার ডেমরা থানা এলাকার শুকরশী খালপাড়া থেকে মানুষরুপি সেই জীন সবুজ মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করেন চন্দ্রীমা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।এ সময় ডিএমপি’র (এপিবিএন) পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,মাইটিভি’র একটি বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে সুকৌশলে সবুজ মিয়া তার নিজস্ব মোবাইল নম্বর যোগ করে।সেই ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে সে।সেই ফুটেজে দেওয়া নম্বরে ফোন দিয়ে প্রতারণার শিকার হন রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকার মনতাজুর রহমানের স্ত্রী জেসমিন আলম (৫৬)।কয়েক ধাপে সবুজ মিয়া নামে উক্ত জিনের সঙ্গে কথা বলে প্রায় তিন লক্ষ টাকা দেন ঐ নারী।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চন্দ্রিমা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও তালাইমারী ফাঁড়ির ইনচার্জ এ টি এম আশিকুল ইসলাম বলেন,বাদীর অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে অভিযুক্ত সবুজ মিয়াকে সনাক্ত করা হয়।এরপর অভিযুক্ত জিন পরিচয়দানকারী সবুজ মিয়াকে ডিএমপি’র এপিবিএন এর সহায়তায় ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সবুজ প্রতারণার দায় শিকার করে।পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী জেসমিন বলেন,আমি দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক সমস্যায় ভুগছিলাম।সে কারণে টিভিতে সমস্যা সমাধানের একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পাই।সেই বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে প্রতারক সবুজ তার মোবাইল নম্বর যোগ করেন। এরপর কণ্ঠ পরিবর্তন করে বিভিন্ন নম্বর থেকে নিজেকে কামরুপ কামাক্ষার জিন সেজে কথা বলেন।সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সে।পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।এরপর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করলে বুঝতে পারি আমি প্রতারিত হয়েছি।

আটক সবুজ মিয়া ভোলা জেলার লালমোহন থানা এলাকার গাজী বাড়ি গ্রামের নান্টু মিয়া’র ছেলে।

জানতে চাইলে চন্দ্রীমা থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন,অভিনব কায়দায় নিজেকে জীন পরিচয় দিয়ে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।অভিযোগ পেয়ে তদন্ত পূর্বক আসামী সবুজকে আটক করা হয়।আটকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।